মন্ত্রিত্ব পাবার আশায় আছেন শরিকরা

প্রকাশঃ জানুয়ারি ৮, ২০১৯ সময়ঃ ১২:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:০৮ পূর্বাহ্ণ

সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। এখনও মন্ত্রিত্বের আশায় আছেন ১৪ দলের শরিক নেতারা। তাদের অনেকের ধারণা, এখনও সময় আছে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের। এখন আওয়ামী লীগের নেতাদের শপথ হয়েছে। পরে হয়তো ১৪ দলের শরিকদের শপথ হবে।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ১৪ দল গঠনের সময় শরিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত ছিল- একসঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন, একসঙ্গে সরকার পরিচালনা। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগ একা মন্ত্রিসভা গঠন করায় হতাশ জোট শরিকরা।

অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জোট করার সময় এমন কোনো শর্ত ছিল না যে, তাদেরকে মন্ত্রী করতেই হবে।’ এ নিয়ে জোটে কোনো টানাপোড়েন নেই বলেও জানান তিনি।

তবে শরিকদের কেউ কেউ এখনও আশায় আছেন- মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হলে সেখানে তাদের কারও কারও ঠাঁই হবে। আবার সিনিয়র মন্ত্রীদের ঢালাও বাদ দেয়ারও সমালোচনা করেছেন একাধিক শরিক দলের নেতা।

শরিক দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। পরে তাদের কাউকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হবে কি না সে বিষয়েও কোনো ইঙ্গিত দেয়নি আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (বাসদ) সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জোটের শরিকদের কেন রাখা হলো না- এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে কারও কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যাও পাইনি। মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা করে এগিয়ে যেতে চান। পরে সম্প্রসারণ হতে পারে।’

মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মেনন বলেন, ‘এটাই তো শেষ না। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে পারে।’

১৪ দল গঠনের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় পায় জোটটি। তখনকার মন্ত্রিসভায় শুরুতেই সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়াকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। পরে সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে যোগ করা হয়। এর পরে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী হন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর মন্ত্রিসভার শুরুতেই মেনন, ইনু, মঞ্জুকে যোগ করা হয়। এবারের মন্ত্রিসভায় ১৪ দলের কোনো শরিককেই রাখা হয়নি। ফলে শরিকদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। তবে তারা এখনও আশায় বসে আছেন।

দেখতে চান- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য কী করেন।

প্রতি/ এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G