![](https://www.protikhon.com/wp-content/uploads/2023/01/0814-11-140x250.png)
সাকিবকে ওয়েল কাম জানালেন শেখ সোহেল
একটা সময় ছিল আইপিএলের পরই বাংলাদেশের বিপিএলকে স্থান দেয়া হতো। দিন বদলেছে, বিপিএল দিন দিন নিচের দিকে নেমে গেছে। ১০ বছর আগে পথচলা শুরু করা বিপিএল নিয়ে ২০২৩ সালেও সমালোচান আর আলোচনা করতে হচ্ছে বিসিবিকে! হতবাক করা বিষয় বটে।এতো তামঝামের কারণ দুই দিন আগে সাকিব আল হাসান প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিলেন তিনি ২/৩ মাস সময় পেলে বিপিএল সহ বিসিবির সিইও পদে থাকলে সব ঠিক করে দেবেন। বিপিএল এখন আর আগের জায়গাতে নেই সেটাও সাকিব সরাসরি বলে দিলেন। সাকিবকে সমর্থন জানালেন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি।পুরো প্রসঙ্গটি নিয়ে বিপিএলের টাইটেল স্পন্সশীপের সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সিইও-কে তোপের মুখে পড়তে হয়। তখন বিসিবি সিইও বিপিএলে সাকিব প্রসঙ্গ আর বিপিএলের টাইটেল চুক্তির টাকারে অংকও বলতে রাজী হলেন না।
বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন সুজন বলে ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কমিটি সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় বসতে।
সে মোতাবেক আজ বিপিএলের প্রথম ম্যাচ চলাকালে খবর পাঠানো হলো সন্ধ্যা ২য় ম্যাচের আগে বিপিএল কমিটি সংবাদ সম্মেলনে হাাজির হবে।
শুরুতেই পুরো প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা হয়, সাকিব যা বলেছে তাতে বিসিবি কি পদক্ষেপ নেবে? কারণে বিসিবি তো চুক্তিভঙ্গ করে কথা বললে ক্রিকেটারদের শাস্তি দিয়ে থাকে। সাকিব তো চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, কি করবে বিসিবি?
প্রশ্ন শুনেও বিসিবির পরিচালক ও বিপিএলের সদস্য সচিব আইএস মল্লিক বার বার এড়িয়ে গেলেন। তিনি জানালেন, সাকিব আমরা এক ঘরের মানুষ, এক সাথে কাজ করি।’
কিন্তু একই প্রশ্ন করা হলো বোর্ড পরিচালক ও বিপিএলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেলকে। তাঁকে আরো বাড়িয়ে প্রশ্ন করো হলো – সাকিব তো বিসিবির সিইও পদের কথা উল্লেখ করেছেন। তাহলে কি বিসিবি সাকিবের প্রস্তাব নিয়ে কি ভাবছে?
শেখ সোহেলে বলেন. আমরা সাকিবকে ওয়েল কাম জানাচ্ছি। সাকিব যে কোন সময় আমাদের সাথে সিইও পদে যোগ দিয়ে কাজ করতে পারে। তবে সে তো এখন ক্রিকেটার, খেলছে। এখন সাকিবের পক্ষে বিসিবিতে আসা সম্ভব না। তিনি চাইলে আগামী বছর বিসিবির সিইও পদে যোগ দিয়ে কাজ করতে পারে। আমরা সাকিবকে ওয়েলকাম জানাচ্ছি।’
তবে বিসিবি টাকা হিসেব মানে আয়-ব্যয় প্রসঙ্গে আইএম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, দেখুন আমরা চাইলেই এখন আর সব কিছু করতে পারছি না। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।
আমরা বছরে ৫৫ থেকে ৬০ কোটি টাকা ক্রিকেটে আয় করে থাকি। এর মধ্যে থেকেই আমাদের সকল বিভাগের হিসেব মাথা রেখে খরচ করতে হয়। এখন ২/৩ জন তারকা ক্রিকেটারকে পেমেন্ট দিয়ে বাকীদের ফাঁকা রাখা তো সম্ভব না।
আমাদের সকল হিসেব আমরা অডিট করিয়ে রিপোর্ট জমা করি। আসলে এখন অনেকেই বিগ ব্রাশ আর আইপিএলের সাথে বিপিএলের তুলনা করছে। এটা ঠিক না, কারণ তাদের আর্থিক অবস্থা আমাদের অবস্থা এক নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক হিসেব করে ব্যয় করছ।’