কিশমিশের আশ্চর্য গুণ

প্রকাশঃ মে ১১, ২০১৫ সময়ঃ ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক :

KISMISকোন উপকারীতা না জেনেই হয়তো আমরা কিশমিশ খাই। কিন্ত এই শুকনো খাবারটিতেই রয়েছে অনেকগুলো ঔষধি গুণ। মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়াতে কিশমিশের ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পোলাও-কোরমা ও অন্যান্য খাবার রান্না করতেও কিশমিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিশমিশ শুধু সৌন্দর্য এবং স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করলেও এর রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা। জেনে নিন যেসকল কারণে রান্না খাবার ছাড়াও নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখবেন কিশমিশ।

আপনার দেহে কাটা-ক্ষত সহজে শুকাচ্ছে না। কাটা-ক্ষত শুকাতে কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে।

দেহ দূর্বল বা রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি বিষন্নতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

আপনার খাদ্য তালিকায় আশঁযুক্ত খাবার কম থাকলে তার চাহিদা দূর করবে কিশমিশ। কারণ কিশমিশের গলন-অযোগ্য আঁশ বা ইনসলিউবল ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও হজম করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়া এই আঁশ কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

কিশমিশের অ্যান্টি-কোলেস্ট্ররেল উপাদান রক্তের খারাপ কোলেস্ট্ররেল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্ট্ররেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আপনার হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাব। এছাড়া খনিজ লবনের অভাবে অস্টিওপরোসিস (হাড়ের একধরনের রোগ) রোগ হয়। কিশমিশে বিদ্যমান বোরন অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।

উচ্চমাত্রার সোডিয়াম শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। কিশমিশের প্রধান উপাদান পটাশিয়াম সোডিয়ামের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের বিষাক্ততা ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।

তবে অধিক ওজন ও ডায়বেটিক রোগীদের কিশমিশ বেশি না খাওয়াই ভালো।

প্রতিক্ষণ/এডি/নুর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G