WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

কেমন হবে ঘরের আলোকসজ্জা কেমন হবে ঘরের আলোকসজ্জা

কেমন হবে ঘরের আলোকসজ্জা

প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি ২১, ২০১৫ সময়ঃ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

লাইফষ্টাইল ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

সকাল থেকেই কাজের পেছনে লেগে থাকা। গৃহিনী,bed room চাকরিজীবী যেই হোক না কেন কাজ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর দিনশেষে ঘরে ফিরেই সতেজ হতে চায় মন। বসার ঘরে বসে টিভি দেখা, ব্যালকনিতে হালকা স্নিগ্ধ আলোয় গা এলিয়ে দেওয়া কিংবা শোবার ঘরে বই পড়া। আপনি যেমনটাই বেছে নিন না কেন, ঘরের আলোকসজ্জার ওপর শতভাগ নির্ভর করছে আপনার মানসিক প্রশান্তি। রাতে যেহেতু প্রাকৃতিক আলো পাচ্ছেন না, সেহেতু কৃত্রিম আলোই আপনার ভরসা। কৃত্রিম আলোর সঠিক ব্যবহার পারে আপনার সতেজতা ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই।

আপনি আপনার ঘরের কোন জায়গা কী হিসেবে ব্যবহার করছেন, এর ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে আলোকসজ্জা। নিজের পছন্দ এবং রুচির ক্ষেত্রেও আলোকসজ্জা নির্ভর করে। বাড়ির প্রবেশপথ থেকে শুরু করে বসার ঘর, খাবার ঘর, শোয়ার ঘর, পড়ার ঘর, ব্যালকনি সবখানেই কৃত্রিম আলো তৈরি করে ভিন্ন এক মাত্রা। আপনাকে এনে দিবে বিচিত্র অনুভূতি।

বাড়ির প্রবেশপথ হলো অতিথিদের অভ্যর্থনার স্থান। প্রবেশপথের আলাকসজ্জা রুচিশীল হলে ঢোকার পথেই আপনার সম্পর্কে ভিন্ন ধারণার জন্ম নেবে অতিথির মনে। বাড়ির প্রবেশপথে কম উজ্জ্বলতার এবং হালকা রঙের আলোকবাতির ব্যবহার আজকাল বেশ দেখা যায়। তবে এমন হালকা বাতি ব্যবহার করা উচিত নয়; যাতে অতিথির চলাচলে অসুবিধা হয়। অনেকে প্রবেশপথের দুই পাশের দেয়ালে বিভিন্ন পেইন্টিংসও ঝুলিয়ে রাখেন। এক্ষেত্রে পেইন্টিংসগুলোতে বাড়তি স্পট লাইট দিয়ে হাইলাইট করতে পারেন। এতে পেইন্টিংসগুলো সবার দৃষ্টিগ্রাহ্য হবে। সিঁড়িতে বাতির সুইচবোর্ড এমন স্থানে হওয়া উচিত যাতে নিচে এবং উপরে উভয় দিক হতেই ব্যবহার করা যায়।

বসার ঘরে লোকসমাগম একটু বেশি হয়। অনেকে বলেন বসার ঘরের মাধ্যমে বাড়ির লোকদের রুচির বহিঃপ্রকাশ হয়। বসার ঘরে উজ্জ্বল আলোকসজ্জাই সবার বেশি পছন্দ। মনে রাখবেন, ঘরের দেয়ালের রঙ আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে একটি মোক্ষম ভূমিকা পালন করে। বসার ঘরে দেয়ালে হলুদ রঙ ব্যাবহার করা যেতে পারে। এতে বন্ধুভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিল রেখে কিংবা বিপরীত রঙের এবং বাহারি নকশার আলোকবাতির ব্যবহার পুরো জায়গাকে করে তুলতে পারে আরো সুন্দর। শুধু তা-ই নয়, বসার ঘরের আসবাবের জমিন ও রঙের সঙ্গে মিল রেখেও ব্যবহার করতে পারেন আলোকবাতি। ঘরের এক কোণে ল্যাম্পশেড, কর্নার ক্যাবিনেট কিংবা শোকেসগুলোতেও ব্যবহার করতে পারেন কম উজ্জ্বলতার ছোট আকারের আলোকবাতি। এ ছাড়া ফলস সিলিং ব্যবহার করে তার মাধ্যমে হালকা ও স্নিগ্ধ আলোর ব্যবস্থা করতে পারেন আপনি। এতে বসার ঘরের সৌন্দর্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

খাবার ঘরের আলোকব্যবস্থাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ঘরে আলোকসজ্জার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে খাবার টেবিলের ওপর যাতে আলো পড়ে। সাধারণত খাবার টেবিলের ওপর সিলিং থেকে ঝুলন্তবাতি ব্যবহার করা হয়, যাতে খাবার সময় টেবিলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে। আলোর উজ্জ্বলতা যাতে খাবার সময় বিরক্তির সৃষ্টি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবে কম উজ্জ্বল বাতি ব্যবহার করলে অসুবিধা হতে পারে। অনেকে খাবার টেবিলের পাশে শোকেসে সিরামিকের তৈজসপত্র সাজিয়ে রাখেন। এক্ষেত্রে শোকেসের তৈজসপত্র যাতে সহজে ফুটে উঠে সেদিকে খেয়াল রেখে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

শোবার ঘরটি আপনার একান্তই নিজস্ব। এখানে আলোকবিন্যাসটাও তাই সম্পূর্ণ আপনার রুচি এবং স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত শোবার ঘরের জন্য হালকা রঙের, তুলনামূলক কম উজ্জ্বলতার ও দৃষ্টিসহনীয় বাতিই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শোবার ঘরের দেয়ালের রঙ নীল বা সবুজ ব্যবহার করা যেতে পরে। এতে ঘরটি শান্ত ও স্নিগ্ধ মনে হবে। যাদের শোয়ার ঘরে ড্রেসিং টেবিল আছে, তারা এমনভাবে আলোকসজ্জা করতে পারেন যাতে আয়নার সামনে দাঁড়ালে পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যায়। এ ছাড়া ঘরে রকমারি নকশার টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করেও একঘেয়ে ভাবটা কাটানো যায়। ওয়াল কেবিনেটেও স্পট লাইটের মাধ্যমে ঘরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যায়।

পড়ার ঘরের জন্য এমনভাবে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে একই সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য এবং দৃষ্টি সহনীয় হয়। বিশেষ করে পড়ার টেবিলে যাতে সঠিকভাবে আলো আসে, সে দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে বই রাখার তাকগুলোতেও আলোর ব্যবস্থা করতে পারেন। পড়ার ঘরের দেয়ালের রঙ হওয়া উচিত হালকা ধূসর, সাদা বা হালকা গোলাপি। এতে ঘর উজ্জল দেখাবে।

বাসায় শিশুদের ঘরটিতে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থার ওপর বেশি নজর দিতে হবে। ঘরের দেয়ালে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন রকম কার্টুনের ছবি দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন শিশুর ঘর।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G