WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
জেলার মাঠ জুড়ে যেন হলুদের সমাহার। তাকালেই দুই চোখে দেখা যায় হলুদ আর হলুদ। যেন অলংকারে সেজেছে প্রকৃতি। বাতাসে হেলে দোলে সরিষা ফুল গুলো সুভাষ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। আর মৌমাছি দল
বেঁধে সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করছে।
এ জেলায় এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়াই এখন পর্যন্ত মাঠের অবস্থা ভালো। আবহাওয়া
অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর, নবীনগর, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর,
বাঞ্ছারামপুরসহ ৯ উপজেলায় সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে নতুন জাতের সম্প্রসারণ। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৫
হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে।
নতুন জাতের বিনা-৯ ও বারি-১৪, ১৭ এবং ১৮ জাতের সরিষা। তৈল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমন মৌসুমের শুরু থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরিষার আবাদ কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিভাগ।
একাধিক কৃষক জানান, তবে গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সরিষার অনেক ক্ষতি হয়েছিল। সার এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও ফলন এবার ভালো হয়েছে। প্রতি কানি
(৩৯ শতাংশ) জমিতে ৩/৪ মণ সরিষা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। সরিষা জমিতে মধু সংগ্রহের জন্য ভন ভন করছে মৌমাছি। সদর উপজেলার উত্তর সুহিলপুর গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, সরিষা
চাষে দ্বিগুন লাভ। সরিষার ফুল ও পাতা ঝরে জমিতে জৈব সার তৈরি হয়। সে কারণে জমিতে পরবর্তী ধানের ফলনও ভালো হয়। অষ্টগ্রাম গ্রামের কৃষক রিপন হোসেন বলেন এ বছর সরিষার ভালো ফলন হবে।
সাদেকপুরে কৃষক আবদুল্লাহ মিয়া জানান গত বছর আমি এক কানি (৩০ শতক) জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম, এবার দেড় কানি জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গজারিয়া গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া জানান, আশা
করি আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার সরিষার ভালো ফলন হবে। তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি জানান এক কানি (৩০ শতক) জমিতে সরিষা চাষ করে সব খরচ বাদ
দিয়ে প্রায় ৪-৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ভোজ্য তেলের চাহিদা
মেটাতে এ বছর নতুন জাতের সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এতে এ বছর জেলায় প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে। সরিষার আবাদ
বৃদ্ধির লক্ষ্যে জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কৃষক সমাবেশের পাশাপাশি ২২ হাজার কৃষককে প্রতি ১ বিঘা জমির জন্য প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি বিভাগের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।