জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঝিনাইদহে দুটি বাড়ি ঘেরাও
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা গ্রামের ঐ দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান বলেন, “ঐ দুই বাড়িতে জঙ্গিরা অবস্থান করছে এবং ভেতরে বিস্ফোরক মজুদ করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা রওনা হয়েছেন। তারা পৌঁছানোর পর অভিযান শুরু হবে।
পাশাপাশি একতলা ঐ বাড়ি দুটির মালিক সেলিম ও প্রান্ত নামের দুই ব্যক্তি বলে জানা যায়।
র্যাবের মতে, গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি তুহিন চুয়াডাঙ্গা গ্রামের এই সেলিমের ভাই এবং প্রান্তর চাচাতো ভাই। তুহিন সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। ঐ অভিযানের পর তার মামা আমিরুল ইসলাম মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেছিলেন।
ঝিনাইদহে গত এক মাসে এ নিয়ে পাঁচটি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২০ এপ্রিল সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দুই দিনের অভিযান শেষে ঐ জঙ্গি আস্তানা থেকে ২০টি কেমিকেল কন্টেইনার, ছয়টি বোমা, তিনটি সুইসাইড ভেস্ট, নয়টি সুইসাইড বেল্টসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর গত ৫ মে মহেশপুর উপজেলায় এক বাড়িতে পুলিশের অভিযানে নব্য জেএমবির দুই জঙ্গি নিহত হন। আর সদর উপজেলার লেবুতলায় আরেক বাড়িতে পাওয়া যায় আটটি বোমা ও একটি ৯ এমএম পিস্তল। এর মধ্যেই ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আরেক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। ঐ অভিযানে চারজন নিহত হন, বাড়িতে পাওয়া যায় অস্ত্র ও সুইসাইড ভেস্ট। সর্বশেষ ১১ মে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক জঙ্গি আস্তানা ঘিরে পুলিশের অভিযানে এক পরিবারের পাঁচজন নিহত হন, জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী। ঐ বাড়িতে পাওয়া যায় ১১টি বোমা ও একটি পিস্তল।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ