তুলসিপাতার গুণাগুণ

প্রকাশঃ জুলাই ২৭, ২০১৫ সময়ঃ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

tulsi-pataতুলসীপাতা স্নায়ুটনিক এবং স্মৃতিবর্ধক হিসেবে পরিচিত। পাকস্থলীর শক্তি বর্ধনেও তা অনন্য। তুলসীর বীজ গায়ের চামড়াকে মসৃণ রাখে। বীজ সেবনে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে থাকে।

ঋতু পরিবর্তনের কারনে জ্বর, ম্যালেরিয়া জ্বর এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এর জন্য কচি তুলসীপাতা চায়ের সাথে পান করলে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ হয়ে থাকে। একিউট জ্বরে তুলসীপাতার সেদ্ধ রসের সাথে এলাচিগুঁড়া এবং চিনি ও দুধ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

গলায় ক্ষতের জন্য তুলসীপাতার সেদ্ধ পানি পান করলে এবং গারগল করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। তুলসীপাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে ফুসফুসীয় সমস্যায়। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগে তুলসীপাতার রস, মধু ও আদা মিশিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তুলসীপাতার রস, লবণ ও লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে ফল পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগের ব্যবহারের জন্য তুলসীপাতা আধা লিটার পানি সেদ্ধ করতে হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ তা অর্ধেকে পরিণত হয়।

কিডনির পাথরে তুলসীর ব্যবহার চমকপ্রদ ফলাফল দিয়ে থাকে। তুলসীপাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত একাধারে ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহারে কিডনির পাথর অপসারিত হয়ে থাকে। এছাড়া তুলসী কিডনিকে শক্তিশালী করে থাকে। হৃদরোগেও তুলসীর ব্যবহার রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক অবসাদ প্রশমনে এমনকি প্রতিরোধে তুলসী চমৎকার কাজ করে। মুখের ঘা শুকাতেও তুলসীপাতা ভালো কাজ করে। মুখের ইনফেকশন দূর করতে তুলসীপাতা অতুলনীয়। প্রতিদিন দিনে দু’বার নিয়মিত চিবায়ে মুখের সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে।

মাথা ব্যথায় তুলসীর পেস্ট কপালে ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়। এছাড়া গনোরিয়া ও গাউট রোগেও তুলসীপাতার রস উপকারী।

তুলসীপাতার ব্যবহার ছাড়া তুলসী বীজও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডায়রিয়া, পুরনো আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা, পাইলস, গনোরিয়া, কাশি, কিডনি সমস্যা এবং জ্বরে তুলসী বীজ উপকারী।

প্রতিক্ষণ/ডেস্ক/সজল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G