দিনাজপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন, তবু লোকসানের শঙ্কায় কৃষকরা

প্রকাশঃ নভেম্বর ৮, ২০২৫ সময়ঃ ১২:১১ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:১১ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

দিনাজপুরের বাজারে আগাম জাতের আমন ধান উঠতে শুরু করেছে। বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ী বাজার ও সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ হাটে প্রতিদিন ভোর থেকেই কৃষকদের ভিড় দেখা যায়। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে কৃষকরা ভটভটি, নছিমন ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানে ধান নিয়ে বাজারে আসছেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত চলে ধান কেনাবেচা। বর্তমানে বিনা-৭, বিনা-১৭, বিনা-৭৫ জাতের ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১,০২৫ থেকে ১,০৭৫ টাকায়। পাথরভাটা ও কোটরাপাড়ি ধান ১,০৫০ থেকে ১,১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পুরোনো বোরো সম্পা কাটারি ও বগুড়া কাটারি ধান মিলছে ১,৬০০ থেকে ১,৬৫০ টাকা দরে—যা তুলনামূলক অনেক বেশি।

কৃষকদের অভিযোগ, সার, শ্রমিক ও পরিবহনসহ সব খরচ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান দামে ধান বিক্রি করে লাভ তো নয়ই, লোকসানের আশঙ্কাই বেশি। তাদের মতে, ধানের দাম বাড়াতে বাজারে সরকার চালের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ ও মিল মালিকদের জন্য নীতিগত সহায়তা জরুরি।

পাইকাররা জানান, বাজারে এলসি চালের পাশাপাশি সরকারি টিআর ও জিআর চালের সরবরাহ বেশি থাকায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। ফলে ধান কিনতেও তারা সতর্ক, যা বাজারে দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, এ বছর আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেক এলাকায় ধান কাটাই-মাড়াই চলছে। চলতি মৌসুমে ২৮ হাজার ৯২৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৬ হাজার ৫০৯ মেট্রিক টন।

কৃষকেরা বলছেন, বাম্পার ফলনের আনন্দ তখনই আসল হয়ে উঠবে যখন ন্যায্য মূল্য পাবে তাদের ঘাম-ঝরা শ্রমের ধান।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G