পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশঃ আগস্ট ২৭, ২০১৬ সময়ঃ ১:৪৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৪৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

full_1093932931_1434711738

ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুষ্টিয়ায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পদ্মার পানি বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশঙ্কা, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। কারণ, প্রতি তিন ঘণ্টায় সেখানে ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে অবশ্য দৌলতপুর উপজেলার ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

ভারত সরকার বিহার রাজ্যের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে ফারাক্কার ১১৭টি গেটের মধ্যে ৯৯টি গেট খুলে দিয়েছে। এতে উজান থেকে নেমে আসা পানি পদ্মা ও পাগলা নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি তিন ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। 

এভাবে পানি বাড়ার গতি অব্যাহত থাকলে শনিবারের মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। 

গত ১৮ আগস্ট এ পানির মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। ১৯ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ২৫ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার। প্রতি তিন ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে।

রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৩১ মিটার। অর্থাৎ, বিপদসীমা থেকে ১৯ সেন্টিমিটার কম। শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে পানির এই উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ২৮ মিটার। তার মানে, সেখানে ৯ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এদিকে পদ্মা ও গড়াই নদীতে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তারা সজাগ রয়েছে। নদী ও নদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বাঁধে সব সময় নজর রাখা হচ্ছে। 

এদিকে হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বাড়ায় জেলার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ঘরেই পানি ঢুকে পড়েছে। ঘরের মধ্যে মজুদ রাখা পাট, ধান ও মরিচসহ সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এসব এলাকায় তীব্র খাবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে। 

বাজুমারা গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, নলকূপ ডুবে যাওয়ায় পান করার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নৌকায় করে গ্রামবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব উল ফেরদৌস জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পুরো বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে চিলমারীতে ছয় টন চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী প্রস্তত আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রতিক্ষণ/এডি/অারএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G