পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

প্রকাশঃ নভেম্বর ১১, ২০২৫ সময়ঃ ৯:০২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০২ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর অসম সময়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নদীর তীরে থাকা কৃষিজমি প্রতিদিনই স্রোতের তানে ধসে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের আবাদি জমি রক্ষা করতে সরকারের কাছে তৎপর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর নদীর পানি কমে যাওয়ায় তীরের কিছু অংশ খাড়া হলেও স্রোতের প্রভাবে ভাঙন থামছে না। অন্তার মোড় থেকে দেবগ্রাম মুন্সিবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, তিনি বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর ১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন, কিন্তু কয়েক দিনে নদীতে দুই কাঠার মতো জমি বিলীন হয়ে গেছে। খবির সরদারও জানান, নদীর তীরে ২ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছিলেন। ইতোমধ্যে রসুন বড় হয়ে গিয়েছে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পাঁচ কাঠার মতো জমি নদীতে ভেঙে গেছে।

সালাম সরদার, মোহন শেখ ও বালাম সরদারসহ আরও অনেক কৃষকের পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, উচ্ছে, পটল ও মরিচের ফসল নদীতে ভেঙে গেছে। বালাম সরদার অভিযোগ করেন, “নদীর এই ফসলি জমিই আমাদের জীবিকা। যদি জমি নদীতে বিলীন হয়, আমরা বাঁচতে পারব না। সরকার বহু বছর ধরে এখানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা চাই শুষ্ক মৌসুমেই ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া হোক।”

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হায়দার বলেন, দেবগ্রাম এলাকা অত্যন্ত ভাঙনপ্রবণ। চলতি বর্ষা মৌসুমে কাউয়ালজানি, বড়জালো, চরবরাট ও মুন্সিপাড়া এলাকায় প্রায় একশ বিঘা কৃষিজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে যদি ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সাধারণ কৃষক ও এলাকাবাসী অনেক উপকৃত হবেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, “বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রতিরোধ তেমন কার্যকর হয় না। শুষ্ক মৌসুমে জিও ব্যাগ ব্যবহার করে নজরদারি করা গেলে কার্যকারিতা অনেক বেশি হয়। সাধারণ কৃষক ও এলাকায় বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য সরকারের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে শুষ্ক মৌসুমেই ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।”

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G