বাবার পাশে কবর দেওয়ার কথা বলে গেছেন হাদি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ সৈয়দ শরিফ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো গ্রাম। হাদির বাড়িতে রাত থেকেই ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী—শেষবার তাকে দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন অনেকে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাদির ইচ্ছা ছিল তাকে বাবার কবরের পাশে দাফন করার। তবে দাফনের স্থান ও সময়সূচি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বর্তমানে হাদির বাড়িতে তার বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন অবস্থান করছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে নলছিটি পৌরসভার খাসমহল এলাকায় একটি টিনশেড ঘরে জন্ম হাদির। বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদি—ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। এলাকার মানুষ জানান, শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদী ও সরব। তিনি নেছারাবাদ এন.এস. কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম শেষ করে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
এদিকে, হাদিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা। একই সঙ্গে “হাদির মতো একজনকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি কেন”—এ প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
হামলা ও চিকিৎসা: কী ঘটেছিল
• ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে গুলি করা হয়; গুলি মাথায় লাগে।
• প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়; অস্ত্রোপচারের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
• উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
• বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দেশে ফেরার সময়
পরিবার ও সংগঠনসংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রতি /এডি /শাআ











