বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণ–রুপার দাম
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
ডলার শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরেই সুদ কমানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সরকারি শাটডাউনের কারণে বিলম্বিত মার্কিন চাকরির তথ্য প্রকাশের দিকেও এখন দৃষ্টি বাজারের।—খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) স্পট গোল্ডের দাম ০.৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৫৫.২০ ডলারে। এর আগে দিনের মধ্যে দাম ১ শতাংশের বেশি কমে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর ডেলিভারির স্বর্ণ ফিউচার ০.৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৫৩.৮০ ডলারে নেমেছে।
ডলার সূচক দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থানে থাকায় অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়েছে। ফলে দামের ওপর চাপ বাড়ছে।
স্বতন্ত্র বিশ্লেষক রস নরম্যান জানান, ডলারের শক্ত অবস্থান স্বর্ণের বাজারকে চাপে ফেলেছে। বছরের এই সময়ে মুনাফা গ্রহণ ও নতুন বছরের আগে বিনিয়োগ পরিকল্পনার কারণে দামের ওঠানামা সাধারণত বেড়ে যায়।
ফেডের সাম্প্রতিক বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, এখনই সুদ কমালে মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার ঝুঁকি আছে এবং এতে জনআস্থা ক্ষুণ্ন হতে পারে। এদিকে সেপ্টেম্বরের নন-ফার্ম পেরোল তথ্য ৫০ হাজার বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তথ্য প্রকাশে দেরি হওয়ায় ১০ ডিসেম্বরের বৈঠকে ফেডের হাতে যথেষ্ট ডেটা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিএমই গ্রুপের ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরেই সুদ কমানোর সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে—যা আগের দিন ছিল ৪৯ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অনিশ্চয়তা ও নিম্ন সুদের পরিবেশ সাধারণত স্বর্ণের চাহিদা বাড়ায়। ইউবিএস ২০২৬ সালের মধ্যভাগে স্বর্ণের লক্ষ্যমূল্য বাড়িয়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৫০০ ডলার নির্ধারণ করেছে। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় বাড়ায় স্বর্ণের বাজার এখনও শক্তিশালী থাকবে।
এদিন রুপার দাম ১.৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ৫০.৬৬ ডলারে। প্লাটিনাম ০.৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৩৮.৮৫ ডলার হয়েছে। বিপরীতে প্যালাডিয়াম ১.১ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ১ হাজার ৩৯৪.৭৪ ডলারে।
দেশের বাজারে বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকায়। ২১ ক্যারেটের ভরি ২ লাখ ৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা।












