ভাঙ্গায় থানায় ও উপজেলা পরিষদে হামলা, মসজিদে আশ্রয় নিলো পুলিশ
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
ফরিদপুরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে আয়োজিত মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ সোমবার দুপুরে সহিংস রূপ নেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়; তাঁদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ১টার মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলা এলাকায় হামলা চলে। এ ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-র কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
একজন সাংবাদিক জানান, “আমরা ঘটনাগুলো ধারণ করার সময় বিক্ষোভকারীরা আমাদের দিকে তেড়ে আসে। ক্যামেরা ও ফোন কেড়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করতে চায়। পরে আমরা পালিয়ে যাই। এখন আত্মগোপনে আছি।”
আন্দোলনকারীরা থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দুপুর ১২টার দিকে আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী এলাকা থেকে শুরু হওয়া ‘লং মার্চ টু ভাঙ্গা’ গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে হাজারো মানুষ নিয়ন্ত্রণ নেয়। হাতে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীরা চারপাশ দখল করে নেয়। অল্পসংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করলে তাঁদের ধাওয়া দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা ভাঙ্গা মডেল মসজিদে আশ্রয় নেন এবং ১০–১৫ মিনিট পর থানায় ফিরে যান।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ভাঙ্গা সার্কেল কর্মকর্তা, থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।












