WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
মানুষের তো সখের শেষ থাকে না! আর একেক জন মানুষ একেক ভাবে সময় কাটাতে পছন্দ করে। ঘুড়তে,খেতে, আড্ডা দিতে,ফুলের বাগান করতে,গান শুনতে,কেনাকাটা করতে বিভিন্ন ভাবে মোনুষ নিজেকে আনন্দ দিতে পছন্দ করেন। আবার কেউ সখ করে বা নিজের সময়টাকে একটু অন্যভাবে কাটাতে ঘরে বিভিন্ন রকম প্রাণী পোষেন।
এক সময় সেই পোষা প্রাণীগুলোই আপনার কাছে হয়ে ওঠে পরিবারের সদস্যের মত। এমনকি নিজের সন্তানের মত করে আদর করতেও দিধাবোধ করেন না। এমন অনেকেই আছেন যারা সেই প্রাণীটা একটু আঘাতপ্রাপ্ত হলে কেঁদে বুক ভাষান। হয়তো এমনটা নিজের কোনও ক্ষতি হলেও করেন না। কী ঠিক বলছি তো? তাহলে নিশ্চয় এই প্রাণীগুলোর যত্ন একটু ভালোভাবে নিতে মন চায় আপনার! আর নেওয়া উচিতও তাই।
যত্ন নেওয়া উচিত কারণ অনেক সময় আপনি তাকে কোলে নিয়ে আদর করেন। আবার আপনার ছোট শিশুর বিছানা পর্যন্ত যেতে পারে প্রাণীটি। তাই তারা যেন কোনও রোগ-জীবানু ছড়াতে না পারে সে জন্য তাদেরকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং যত্নে রাখতে হবে। সঠিক যত্ন নিলে সুস্থ থাকবে প্রাণীকি আর সুরক্ষিত থাকবে ঘরের সবাই। জেনে নিন কিভাবে এদের যত্নে রাখবেন।
যেভাবে যত্ন নিবেন:
-প্রাণীটিকে যদি বাসার বাইরে ঘুরতে ফিরতে দিতে চান তাহলে সে যেখানে ঘুরবে সেখানে বাউন্ডারী দিয়ে দিন।
-পোষা প্রাণীকি বাড়ির যে স্থানে রাখা হবে সেই অংশটা যেনো অবশ্যই আলো বাতাসে পূর্ণ হয় এবং সুষ্ক হয়। আলো বাতাস এদের শরীরের জন্য খুবই দরকারী।
-পোষা প্রাণীর খাবার আর পানির পাত্রটি অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। মাঝে মাঝে খাবার থেকে এদের ফুড পয়জনিং হতে পারে। তাই খাবারের দিকে বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। বাসি খাবার দেয়া যাবে না, খাবার শেষ হওয়ার সাথে সাথে পাত্রটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে। তাহলে এতে জীবাণুর সংক্রমণ হবে না ।
-পোষা প্রাণীটি যে খাঁচায় রাখা হবে সেই খাঁচাটি সপ্তাহে অন্তত একদিন ভালো করে জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তা হলে জীবাণু ছড়ানোর আশংকা থাকে।
-শীতের সময় শখের পোষা প্রাণীটির বাড়তি উষ্ণতা নিশ্চিত করতে হবে। বৃষ্টি বা ঠান্ডায় এদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।
-বাড়ীর শিশুটি পোষা প্রাণীর সাথে খেলা করে, এদের শরীরে স্পর্শ করে। তাই কুকুর বিড়ালের শরীর সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে, এদের অপরিছন্ন শরীরে পোকাও বাসা বাঁধে। সপ্তাহে অন্তত একদিন জীবাণুনাশক শ্যাম্পু দিয়ে এদের গোসল করাতে হবে। গোসল করানোর পর শরীর ভাল মতো মুছিয়ে শুকিয়ে দিতে হবে।
– গোসল করাবার সময়ে অত্যন্ত সাবধান থাকতে হবে যেন কানে পানি না ঢোকে। আর খরগোশকে গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। খরগোশ পানি সহ্য করতে পারে না।
-দিনে ২ বার কুকুরের শরীর মোটা দাঁত অলা চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হয়, এতে পশম মসৃণ থাকে আর পোকাও হয় না। পশম ওয়ালা বেড়াল হলে তাদেরকেও ব্রাশ করা যেতে পারে।
-পোষা প্রাণীর খাবার আর পানির পাত্রটি অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। মাঝে মাঝে খাবার থেকে এদের ফুড পয়জনিং হতে পারে,তাই খাবারের দিকে বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। বাসি খাবার দেয়া যাবে না,খাবার শেষ হওয়ার সাথে সাথে পাত্রটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে। তাহলে এতে জীবাণুর সংক্রমণ হবে না।
-পোষা প্রাণীকে সব সময় সুষম খাদ্য দিতে হয়। কুকুরকে চর্বি, মশলা বিহীন সিদ্ধ মাংস, বিড়ালকে দুধ-মাছ দেয়া যেতে পারে। ভাতের ঘন মাড় কুকুর বেড়ালের স্বাস্থ্য ভালো করে। খরগোশকে কচি ঘাস, শসা, গাজর দিতে হয়। এছাড়া বাজারে এদের জন্য তৈরি খাদ্যও কিনতে পাওয়া যায়।
-ক্ষতিকর বা বিষাক্ত পদার্থ দূরে রাখুন।
তবে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পাখির যত্ন একটু আলাদাভাবে নিতে হয়। তাহলে জেনে নিন কিভাবে নিবেন পাখির যত্ন।
-পাখির খাঁচাটি বাঁশের তৈরি হলে বেশি ভাল হয়,কারন ষ্টীল এর খাঁচা কোন কোন পাখির ত্বকের ক্ষতি করে।
-পাখিকে সব সময় পাখির জন্য নির্দিষ্ট করা খাদ্যই দিতে হবে। বাজারে পাখির জন্য প্যাকেট জাত খাদ্য কিনতে পাওয়া যায় যা বেশ কম দামে । পাখিকে খাবার হিসেবে শস্য দানা,গম, ভুট্টা , ধান, তিল, তিশি, কাউন, সূর্যমুখী ফুলের বিচি দেয়া হয়ে থাকে।
– পাখিকে সব সময় আলো বাতাস পূর্ণ স্থানে রাখতে হয়, বৃষ্টির দিনে যাতে পাখির শরীরে পানি না লাগতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতেহবে।
-পাখির খাঁচায় ছোট পেট ফুটো মাটির কলস ঝুলিয়ে দিতে হয়। মাঝে দিতে হয় খড়কুটো। এই কলসে পাখি ডিম পাড়ে আর এই খানেই এদের বাচ্চার জন্ম হয়।
-পাখির খাঁচা নিয়মিত পরিষ্কার রাখাটা জরুরি। না হলে পাখির বিভিন্ন রোগ বালাই হতে পারে। যে কোন অসুখে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রতিক্ষণ/ এডি/ এল জেড