WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রবণতা এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নয়। বিশ্বায়নের যুগে দেশের অনেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করা। আর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই থাকে সর্বাধিক।
এখানকার শিক্ষাব্যবস্থার আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্রহণযোগ্যতাই এর পেছনের অন্যতম কারণ। বিশ্বের প্রথম সারির ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় সত্তরটিই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা অথবা বিজ্ঞান সব ক্ষেত্রেই এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ সুখ্যাতি ধরে রেখেছে।
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীই নিজ নিজ স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করছেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্ত বর্তমান সময়ে ধারণাটি সঠিক নয়। সঠিক পরিকল্পনাই পারে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহী একজন শিক্ষার্থী স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর যে কোনো পর্যায়েই পড়তে যেতে পারে। তবে একেক পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি কিছুটা ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
স্নাতক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা
যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনাকে প্রচলিতভাবে আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টাডিজ বলা হয়ে থাকে। আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে ভর্তি হতে চাইলে আপনাকে বাংলাদেশে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে কমপক্ষে ১২ বছরের পড়াশোনা অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র লাগবে। পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা প্রমাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে টোফেল অথবা আইইএলটিএস স্কোর লাগবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার অন্যতম শর্ত স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্টের অংশ হিসেবে আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনা করতে হলে ‘স্যাট’ পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত স্কোর পেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষদ অথবা বিষয়ভেদে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। বৃত্তি অথবা ফান্ড পেতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অথবা বিভাগীয় অধ্যাপকের সঙ্গে ই-মেইলে আবেদনকারী নিজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্য, বিভাগ পছন্দ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় অফিস ও সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্র সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারবেন ওয়েবসাইট থেকে।
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা
বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বেছে নেয় যুক্তরাষ্ট্রকে। প্রায় চার হাজারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এ পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন প্রক্রিয়ায় আপনাকে আপনার স্নাতক পর্যায়ে অর্জিত সনদপত্র ছাড়াও আপনার বিভাগীয় শিক্ষকদের কাছ থেকে লেটার অব রিকমেন্ডেশন, স্টেটমেন্ট অব পারপাস জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণস্বরূপ টোফেল অথবা আইইএলটিএস স্কোর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী জিআরই অথবা জিম্যাট স্কোর জমা দিতে হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ে আপনার আবেদন মনোনীত হলে আপনার সমস্ত সনদপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্সেল করে পাঠাতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নানা রকম বৃত্তি বা ফান্ডের সুবিধা রয়েছে। এগুলো মূলত দুইভাবে পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, অথবা বিভাগীয় অধ্যাপক কর্তৃক প্রদত্ত ফান্ড। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তির জন্য আপনাকে ভর্তির সময়েই একই সঙ্গে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার সনদপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বৃত্তির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ ছাড়া বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় অধ্যাপকদের সঙ্গে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ পেতে চাইলে আপনাকে ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীনই বিভাগীয় অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করার জন্য অনুমতি চাইতে হবে। গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করে পাওয়া অর্থ দিয়ে আপনি খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনাসহ আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে পারবেন।
পরামর্শ
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনাবিষয়ক সব ধরনের তথ্য দিয়ে এবং ভর্তিসংক্রান্ত সব খুঁটিনাটি বিষয়ের পরামর্শের জন্য ঢাকার বারিধারার প্রগতি সরণীতে আমেরিকান সেন্টার এবং ধানমণ্ডির ১৬ নম্বর সড়কে অবস্থিত এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ই এম কে) সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে আনছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করতে অথবা তাঁদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং সেশনেরও ব্যবস্থা করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবহার করে আপনি সহজেই স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট (জিআরই, জিম্যাট, স্যাট) এবং ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসেন্সি টেস্ট (আইইএলটিএস, টোফেল)-এর প্রস্তুতি নিতে পারেন। এ ছাড়াও www.higherstudyabroad.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ দেশের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সব রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শিহাব কবীরের মতে, ‘আপনি যদি পরিশ্রমী হন এবং আপনার স্বপ্ন আকাশচুম্বী হয় তাহলে জ্ঞান অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। এখানে আপনি আপনার অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের সব রকম সুযোগই পাবেন।’
তাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন বিষয়ে যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অথবা এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাঁদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে প্রথম পছন্দ।
প্রতিক্ষণ/এডি/এসএবি