রহস্যে ঘেরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭ সময়ঃ ৩:১৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১৬ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

Barmuda-1সমুদ্র একবুক রহস্য নিয়ে সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সেই হাতছানিতেই কলম্বাস, ভাস্কো দা গামা আর ক্যাপ্টেন কুকরা আবিষ্কার করেছেন নতুন নতুন মহাদেশ। তবে সমুদ্র যখন উত্তাল হয়, তখন ধারণ করে এক প্রলয়ঙ্করী রূপ।

আটলান্টিক মাহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বহু বছর ধরে জাহাজ, বিমান এবং মানুষ উধাও হয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এর রহস্যভেদ করার চেষ্টায় রত পশ্চিমা বিশ্ব। কেউ কেউ বলে থাকেন, ভিনগ্রহের কোন উন্নত প্রাণী পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মানুষ ধরে নিয়ে যায়। কেউবা বলেন, হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ আটলান্টিসে তলিয়ে যায় জাহাজগুলো। আবার কেউ, বলে থাকেন চতুর্থ মাত্রার জগতের কথা। এসবইতো অনুমান। আসুন জেনে নেয়া যাক, বিজ্ঞান কি বলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশ্লেষণ করলে, বেশিরভাগ অন্তর্ধান ব্যাখ্যা করা সম্ভব। আটলান্টিক মহাসাগরের ক্রান্তীয় ঝড় ও হ্যারিকেনগুলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মাঝখান দিয়ে যায়। বর্তমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তির সমুহ অগ্রগতির ফলে সহজেই সেগুলোর পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে রাতরাতি আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে পারে, মাঝে মাঝে যা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। উপরন্তু, ক্যারিবিয়ান সাগরের ছোট ছোট দ্বীপগুলো থেকে সৃষ্ট শ্যাওলা জাহাজের চলার পথে বাঁধা সৃষ্টি করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের মতে, সমুদ্রে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর পেছনে কোন ধরণের অতিপ্রাকৃত শক্তির হাত নেই। মানুষ ও প্রকৃতি মিলে এমন এক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে যা কল্পবিজ্ঞানকেও হার মানায়। তারা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কোন আলাদা সীমারেখা বা অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে না।

ফ্লাইট নাইন্টিন, ফ্লাইট ৪৪১, টুডর স্টার টাইগার, ফ্লাইট ডিসি-৩, সি-৪ স্কাই মাস্টার ইত্যাদি বিমান; পিবিএম মারটিন মেরিনার, মেরি চেলেস্ট, মেরিন সালফার কুইন, এলেন অস্টিন, ইউএসএস সাইক্লোপস ইত্যাদি জাহাজ এবং ইউএসএস স্করপিয়ন নামক সাবমেরিনের উধাও হয়ে যাওয়া বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যের কয়েকটি দৃষ্টান্ত মাত্র।

প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G