গৃহস্থালির নিরাপদ সরঞ্জাম মাইক্রোওভেন

প্রথম প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫ সময়ঃ ৪:১০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:০০ অপরাহ্ণ

ফারজানা ওয়াহিদ

ovenমাইক্রোওভেন একটি অতি নিরাপদ গৃহাস্থলির রান্নার সরঞ্জাম। উন্নত বিশ্বে পঞ্চাশের দশক থেকে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। অল্প সময়ে রান্না করতে মাইক্রোওভেনের কোন তুলনা হয় না। কম ঝামেলায় সবকিছু রান্না করা যায়।

সাধারণ চুলায় রান্নার সময় দেয়ালের চারপাশ ময়লা হয় যা পরিস্কার করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ওভেনে খুব দ্রুত পরিষ্কার করা সম্ভব। জেনে নিই ওভেনের টুকিটাকি কাজ সম্পর্কে-

১। মাইক্রোওভেনে এক টুকরো লেবু এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুছে নিলেই হয়ে যায় পরিষ্কার।

২। ডিটারজেন্টের কোন প্রয়োজন হয় না। লেবুপানির যে গন্ধ বের হয় তা থেকে তেলাপোকা,  টিকটিকি ও অন্যান্য পোকামাকড় থেকে ওভেন রক্ষা করা যাবে।

৩। মাইক্রোওভেনে খাবার রান্নার সঠিক নিয়ম ও টাইম জানা থাকলে খাবার নষ্ট ও পুড়ে যাবার ভয় থাকে না।

৪। রান্না শুরুর প্রথমে অল্প টাইম সেট করে নিন, প্রয়োজনে পরে আস্তে আস্তে বাড়ান।

৫। মাইক্রোওভেনে তেল খুব কম লাগে, তাই তেল কম খরচ হয় এবং কোলেস্টোরল বাড়ার ঝুঁকি কমে।

৬। ধোঁয়া কালি ও তাপের ভয় না থাকায় স্কিনও সুরক্ষিত থাকে।

৭। পোলাও, বিরিয়ানী, বারবিকিউ, মাছ, মিষ্টি বিস্কুট, ইত্যাদি সব রকম খাবার রান্না করা যায়। তাই নিজেই তৈরি করতে পারেন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।

৮। বাচ্চাদের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে চাইল্ড লক ব্যবহার করুন।

৯। ফ্যানের নিচে বসেও মাইক্রোওভেনে রান্না করতে পারেন আবার লেখালেখি বা অন্য কাজও সারতে পারেন।

১০। মাইক্রোওভেনে অভ্যন্তরীণ জলীয় অংশ দ্বারাই রান্না হয়, তাই বাড়তি পানি খুব এটা প্রয়োজন হয় না।

১১। অল্প সময়ের জন্য রান্না করলে বাজারের ওভেন প্রুভ প্লাস্টিকের বাটিতে রান্না করা যাবে। কিন্তু ক্যারামেল, সস এবং অনেক সময় ধরে রান্না করতে হলে অবশ্যই মাইক্রোওভেন প্রুভ কাঁচের ডিশে রান্না করতে হবে।

১২। রান্না করার সময় দুই একবার নেড়ে দিতে হবে যাতে সঠিকভাবে রান্না হয়। মাইক্রো ওভেনের দরজা খুললে সেট করা টাইম ঠিক থাকে তাই আবার নেড়ে দিয়ে দরজা লাগিয়ে স্টার্ট বাটনে চাপ দিলেই চলতে থাকবে।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G