লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীদের নৌকায় আগুন, ৫০ জনের মৃত্যু

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ সময়ঃ ৬:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:০১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

লিবিয়া উপকূলে সুদানি শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। রবিবার ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে ৭৫ জন শরণার্থী ছিলেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, উদ্ধার হওয়া ২৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির ধারণা, শরণার্থীরা লিবিয়া হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।

ঘটনার প্রেক্ষিতে আইওএম এক বিবৃতিতে বলেছে, সমুদ্রে ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”

এর আগে গত আগস্টে ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৬৮ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয় এবং শতাধিক নিখোঁজ হন। একই মাসে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে প্রাণ হারান অন্তত ২৭ জন। এরও আগে জুনে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ বা ডুবে মারা যান।

আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরেই ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ জন শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বা তারা নিখোঁজ হয়েছেন। এ কারণে ভূমধ্যসাগরকে বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী অভিবাসন রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সংস্থাটির হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিবিয়ায় ৪৪টি দেশের অন্তত ৮ লাখ ৬৭ হাজার অভিবাসী অবস্থান করছেন।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত আন্দোলনে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া ইউরোপমুখী শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। গাদ্দাফির আমলে আফ্রিকার বহু মানুষ লিবিয়ার তেলনির্ভর অর্থনীতিতে কাজের সুযোগ পেতেন। তবে তার পতনের পর থেকে দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা শরণার্থীদের জীবন আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G