আসামিদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই: চিফ প্রসিকিউটর
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা পরিলক্ষিত হয়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চলা মামলার শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে রাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের মধ্যে শেখ হাসিনা একটি সিভিল ওয়ার লাগানোর চেষ্টা করেছেন। সেনাবাহিনীকে বলার চেষ্টা করেছেন, তোমাদের অফিসারদের বিচার হয়, তুমি কেন রুখে দাঁড়াচ্ছো না?”
চিফ প্রসিকিউটর আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল) নিজেদের অপরাধের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা দেখাননি। উল্টো তারা যারা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন, বাড়িঘর ধ্বংস করার কথা বলছেন এবং লাশগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলারও কথা বলছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছিলেন, তবে সেনাবাহিনী ও জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন। প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম। পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
এই মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী স্বাক্ষ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে শহীদ আবু সাঈদের পরিবার, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা চলছে। একটি মামলা আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় এবং অন্যটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।












