ডিসেম্বরে বন্ধ হচ্ছে ৫০ লাখ অতিরিক্ত সিম
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
একজন মোবাইল গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহারের সীমা বাস্তবায়নে ধাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নানা জটিলতায় তাৎক্ষণিকভাবে বিধানটি কার্যকর করা না গেলেও এবার অতিরিক্ত সিম বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অপারেটরগুলোকে গ্রাহকদের বাড়তি সিমের তালিকা কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। অনুমোদন পেলেই সেসব সিম বন্ধের কাজ শুরু হবে।
এর আগে ঘোষণার পর নিজ উদ্যোগে অনেক গ্রাহক সিম স্থানান্তর বা নিষ্ক্রিয় করায় অতিরিক্ত সিমের সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে কমে ৫০ লাখে নেমে এসেছে। জুলাইয়ে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের নামে অতিরিক্ত সিম থাকলেও বর্তমানে তা ১০–১৫ লাখে নেমেছে।
কোন সিমগুলো বন্ধ হবে?
বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রাহকের মোট সিমের মধ্যে কোন অপারেটরের কত সিম বন্ধ করা হবে, তা অনুপাতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করবে অপারেটররা। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, কোনো গ্রাহকের যদি তিন অপারেটরে মোট ১৫টি সিম থাকে, তবে ৫টি সিম বন্ধ হবে। কোন অপারেটরের সিম কতটি বন্ধ হবে, সেটি নির্ধারণ করা হবে সিম সংখ্যার অনুপাত ধরে। ভগ্নাংশ হলে বেশি সিম থাকা অপারেটরকে ছাড় দেওয়া হবে।
কোন সিম বন্ধ হবে না?
যেসব সিম সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো জোর করে বন্ধ করা হবে না। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্টসংযুক্ত সিম সক্রিয় থাকবে। একই অপারেটরের অনেক সিম থাকলে, সবচেয়ে কম ব্যবহৃত সিমগুলো আগে বন্ধ হবে
বন্ধ হওয়ার পর কী হয়?
বন্ধ সিম ৬ মাসের মধ্যে অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারবে না অপারেটর।
এ সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের অন্য কোনো সিম বন্ধ করে বন্ধ হওয়া নম্বর পুনরায় সক্রিয় করতে পারবেন।
কেন এই সীমা?
রাশেদুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধেই এ সিদ্ধান্ত। অপরাধীরা একাধিক সিম ব্যবহার করে ট্র্যাকিং এড়িয়ে যায়—এটি ঠেকাতেই পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকে একজনের সিম ব্যবহারের সীমা ১০ থেকে কমিয়ে ৫ করার বিষয়েও আলোচনা চলছে।














