যে তিন আসনে বেগম খালেদা জিয়া
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ফেনী–১ ও বগুড়া–৭ তাঁর বহুবারের বিজয়ী আসন হলেও নতুন সংযোজন হিসেবে এবার রাখা হয়েছে দিনাজপুর–৩ আসনকে। ১৯৯১ সালে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে নামার পর থেকে কোনো আসনেই পরাজিত হননি তিনি। দীর্ঘ দেড় যুগ পর আবার জাতীয় নির্বাচনে ফেরার এই ঘোষণা দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
আজ সোমবার বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। দলের এই প্রাথমিক তালিকায় খালেদা জিয়ার জন্য নির্ধারিত হয়েছে ফেনী–১, বগুড়া–৭ এবং দিনাজপুর–৩। তাঁর শারীরিক অবস্থার কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা কাটল তালিকা ঘোষণার পরই।
ফেনী–১ আসনটি খালেদা জিয়ার রাজনীতির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে তিনি বরাবরই প্রার্থী হয়ে জিতেছেন। ২০০১ সালে একাধিক আসনে জয়ী হওয়ার পর তিনি এ আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর ভাই প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দার। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনী হলেও তাঁর জন্ম ও শৈশব কেটেছে দিনাজপুরে।
দিনাজপুর–৩ আসনে কখনোই প্রার্থী হননি তিনি। তবে তাঁর বোন প্রয়াত খুরশীদ জাহান হক ১৯৯৬ সালের দুটি নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ফলে নিজের জন্মভূমি হিসেবে দিনাজপুরকে বেছে নেওয়ার বিষয়টি এবার বিশেষ গুরুত্বের দিক।
অন্যদিকে বগুড়া–৭ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের এলাকা হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে তিনি এখানে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন। পরে তিনি আসন ছাড়লে স্থানীয় নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু তিনবার এবং একবার কেন্দ্রীয় নেতা মওদুদ আহমদ উপনির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন।
এবার বগুড়া–৬ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাবা-মায়ের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় তিনিও সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যদি ভোটে জয়ী হতে পারেন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে সর্বোচ্চ পাঁচ আসনে প্রার্থী হয়ে সবকটিতে জেতা খালেদা জিয়া পরবর্তী নির্বাচনগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে বিজয়ী হন। তবে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ সম্ভব হয়নি। এক দশক পর আবার তিনি ভোটের মাঠে ফিরছেন—এটি বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনের বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।












