চট্টগ্রামে বাড়ছে উদ্বেগ, এক সপ্তাহে উদ্ধার ৯ মরদেহ

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৪, ২০২৫ সময়ঃ ৬:২৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:২৯ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে সাত দিনে নয়টি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি সপ্তাহজুড়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুইজনকে হত্যা করা হয়।

বৈরী পরিস্থিতির শুরু বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে। নগরের এনায়েতবাজার কসাইপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসায়ী আকাশ ঘোষ (২৬)। পরিবারের অভিযোগ, ফোন মেরামতের টাকা পরিশোধ না করায় সানি নামে এক যুবকের সঙ্গে আকাশের কথা–কাটাকাটি হয়। পরে সানি ও তার সহযোগীরা আকাশকে ছুরিকাঘাত করে। কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।

সেই রাতেই রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নে বাড়ি ফেরার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহসভাপতি আবদুল মান্নানকে (৪০)। রাজনৈতিক আধিপত্যের বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। মান্নানের শরীরে চারটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগী নয়ন জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত চান।

বুধবার রাতে ফটিকছড়িতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় ইলেকট্রিশিয়ান আবদুল্লাহ আল মাসুদকে (৩২)। হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে ১২ নভেম্বর চৌধুরীহাট এলাকায় মো. জাফর (৬০) নামে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার হয়। ১১ নভেম্বর হাটহাজারীর একটি খাল থেকে অজ্ঞাত একজন বয়স্ক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। একই দিনে মদুনাঘাট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কাছে স্লুইসগেটের নিচে ৩০ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ ও ধলই ইউনিয়নে রেললাইনের পাশের একটি ডোবা থেকে আরও একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সবশেষ ৫ নভেম্বর নগরের চালিয়াতলিতে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাড়ির সামনে খুন হন সরওয়ার বাবলা।

নানা এলাকায় এভাবে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাবলি বাড়তে থাকায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। পুলিশ বলছে, প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G