গণভোটের সিদ্ধান্ত অধ্যাদেশ জারির পর: সিইসি

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৯, ২০২৫ সময়ঃ ৭:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:১৩ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের ঘোষণা এলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অধ্যাদেশ (আইন) জারির পর, জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের চতুর্থ দিনের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এ মন্তব্য করেন। এই সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপিসহ ছয়টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। চার দিনে মোট ৪৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিইসি বলেন, “আইন হওয়ার পরই আমার দায়িত্ব শুরুর, ততক্ষণ আমরা বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে আইনটা হওয়ার পরে আমরা গণভোট কীভাবে হবে, কতটি বাক্স থাকবে এবং অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করব।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে আমরা পরিকল্পনা করি। রাজনীতিবিদরাই রাজনৈতিক বাস্তবতা ভালোভাবে জানেন। তাই আমাদের কাজ হবে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্টলি চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করা।”

গণভোটের বিষয়ে সিইসি বলেন, “রেফারেন্ডাম কীভাবে হবে— তার জন্য আগেই আইন প্রণয়ন হবে। আইনটি নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেবে এবং নির্দেশনা দেবে, গণভোট কোন বিষয়ে হবে ও কীভাবে হবে।”

১৯৯১ সালের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আইন জারির পরই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হবে। এর আগে আমরা বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করতে পারব না।”

সিইসি বলেন, “আমরা ‘স্লো অ্যান্ড স্টেডি’ নীতিতে কাজ করছি। কথা কম, কাজ বেশি— এই নীতিতেই এখন পর্যন্ত সফলভাবে এগোতে পেরেছি।”

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G