তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছিলেন: জামায়াত
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর শেখ হাসিনার সরকার “ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী চরিত্র” ধারণ করেছিল। বৃহস্পতিবার মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিষয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। দীর্ঘ শুনানির পর ঘোষিত এ রায়কে জামায়াত স্বাগত জানায়।
জোবায়ের দাবি করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশের মানুষ আন্দোলন করেছে এবং এর ধারণার রূপকার ছিলেন জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় না, ফলে নির্বাচন ম্যানিপুলেশনের ঝুঁকি থাকে। এ কারণেই ১৯৮৩ সালের ২০ নভেম্বর জামায়াত প্রথম নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব দেয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবউদ্দীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। পরবর্তী আন্দোলন ও সংসদীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন এ ব্যবস্থার অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন জোবায়ের, তিনি দাবি করেন—১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন ছিল দেশের সেরা তিনটি নির্বাচন। বিপরীতে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে তিনি বাংলাদেশের “সবচেয়ে কলঙ্কিত” নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন।
জামায়াতের এই নেতা আশা প্রকাশ করেন যে আসন্ন চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু।












