কুবিতে শোক দিবসে ক্লাস নেয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের তালা

প্রথম প্রকাশঃ আগস্ট ১৫, ২০১৭ সময়ঃ ১১:১৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:১৮ অপরাহ্ণ

তানভীর সাবিক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জাতীয় শোক দিবসে নানা ঘটনায় উত্তাল ছিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় শোক দিবসে এক শিক্ষকের ক্লাস নেওয়ার অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ঐ শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিতে না দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান বর্জন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অপরদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেই শিক্ষক ৩য় দিনের মতো শোক দিবসেও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করেছেন।

জানা যায়, শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোচনা সভা চলছিল প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ জানতে পারেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মাহবুবুল হক ভুইঁয়া ক্লাস নিচ্ছেন। শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তখন ঐ ক্লাসে যান। পরে তারা গণযোগাযোগ ও সংবাদিকতা বিভাগের সভাপতির বহিস্কার দাবি করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে প্রশাসনিক ভবনের তালা লাগিয়ে দেয়।

শোক দিবসে ক্লাস নিয়ে ঐ শিক্ষক শোক দিবসকে অবমাননা করেছেন এমন অভিযোগ করে তার বহিস্কার দাবি করেন। ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রলীগ।

তবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ঐ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এটা ক্লাস ছিল না। তাদের সেমিস্টার পরীক্ষা চলমান এবং অনেক আগেই পরীক্ষার জন্য সেমিস্টারের ক্লাস বাতিল করা হয়েছে। তারা পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি বিষয় না বুঝায় ঐ শিক্ষককে বললে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় তারা ৪৮ জনের মধ্যে মাত্র ১৪ জন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি মাহবুবুল হক ভূইঁয়া বলেন, ‘আমি ক্লাস নিচ্ছিলাম না। পরীক্ষার জন্য ঐ ব্যাচের ক্লাস বহু আগেই বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা চলমান থাকলে কীভাবে ক্লাস হতে পারে। আমি ক্যাম্পাসে অন্যায়-অবিচার নিয়ে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমরা তাকে ক্লাসে পেয়েছি। তিনি শোক দিবসে ক্লাস নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আমরা তার বহিস্কার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি একটা অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে মঙ্গলবারও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আসাদুজ্জামান ৩য় দিনের মতো দুর্নীতি বিরোধী প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে নিজ ফেইসবুক প্রোফাইলে দেয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে চিঠি দেয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G