ঘর রাঙাতে ওয়াল পেপারের কদর বাড়ছে। যারা ঘন ঘন দেয়ালের রং বদলান। তাদের জন্য ওয়াল পেপার বিরাট একটা স্থান জুড়ে আছে। সব ওয়াল পেপার সব ঘরে মানায় না। কোন দেয়ালে কেমন ওয়াল পেপার ব্যবহার করতে হবে সেটা ভালো ভাবে জেনে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
বসার ঘরের বড় দেয়ালটি বেছে নিন ওয়াল পেপার লাগানোর জন্য। মূলত ঘরের পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই লাগাতে পারেন ওয়াল পেপারটি। যেমন- ঘরের অন্যান্য দেয়ালের রং নীল হলে নীল-সাদা রং আছে এমন ওয়াল পেপার লাগাতে পারেন। এ ছাড়া ঘরের রঙের সঙ্গে সানঞ্জস্য কন্ট্রাস্ট করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী লাগাতে পারেন ওয়াল পেপার।
মূলত বসার ঘরে যেহেতু অতিথি বা পরিবারের সদস্যদের সমাগম বেশি, সেহেতু একটু উষ্ণ রঙের ওয়াল পেপার লাগাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কমলা, হলুদ কিংবা গাঢ় লাল রং বেশ মানানসই।
অনেক ধরনের ওয়াল পেপার থাকলেও জ্যামিতিক নকশার কিংবা মেটালিক টেক্সচারের ওয়াল পেপার বসার ঘরের জন্য বেশি ভালো।
শোবার ঘরের যে দেয়ালে জানালা আছে সেটি বেছে নিন ওয়াল পেপার লাগানোর জন্য। খাটের পেছনের দেয়ালেও লাগাতে পারেন। শোবার ঘর ছিমছাম হলেই ভালো। সে ক্ষেত্রে চাকচিক্য না রাখতে নীল, সবুজ কিংবা হালকা রংগুলো বেশ উপযোগী। শোবার ঘরে ফ্লোরাল ওয়াল পেপার লাগাতে পারেন। দেয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়াল পেপারের রং নির্বাচন করা উচিত।
শিশুর ঘরের ওয়াল পেপারটি হবে বহুরঙা। এছাড়া এনিম্যাল প্রিন্টের কিংবা মিউজিক্যাল টোনের ওয়াল পেপারও লাগাতে পারেন।
খাবার ঘরের ক্ষেত্রে একটু উষ্ণ রং এবং ফ্লোরাল ও মেটালিক টেক্সচারের ওয়াল পেপার বেশি মানানসই। আবার খাবার ঘরের সঙ্গে মানায় এমন সিম্বলিক পেপার বেছে নিতে পারেন। যেমন- খাবারের ছবি, ফলমূল ইত্যাদি। লাইব্রেরি ঘর থাকলে হালকা রঙের জ্যামিতিক নকশার ওয়াল পেপার উপযুক্ত।
ওয়াল পেপার লাগানোর সময় কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালে পেপার কখনই লাগাবেন না। বাথরুমের বাইরের দেয়ালে ওয়াল পেপার না লাগানোই ভালো। ওয়াল পেপার কাগজের হলে পানির ব্যবহার কম করুন। নরম কাপড় দিয়ে ওয়াল পেপারটি পরিষ্কার করুন প্রতিদিন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে