ইসলাম ও জীবন
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
![Islam](https://www.protikhon.com/wp-content/uploads/2015/05/Islam.jpg)
ইসলাম অনুসারে আদব-কায়দা ও এক মুসলমান অপর মুসলমানের প্রতি আচরণ এবং কল্যাণ কামনার রীতি-নীতি:
কারো মতে- বড়দের সন্মান করা এবং ছোটদের স্নেহ করাকে আদাব বলে। আদাব হচ্ছে আরবী ভাষার একটি শব্দ যার বাংলা হিসেবে আমরা আদাব বলে থাকি।
সালাম শব্দটির আভিধানিক অর্থ নিম্নরূপ:
১.দোষ ক্রটি হতে মুক্ত থাকা।
২.শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা।
৩.স্বাগতম ও অভিবাদন জানানো।
৪.আনুগত্য প্রকাশ করা।
আল্লামা রাগেব ইস্পাহানী (র) বলেন, সালাম শব্দটি আল্লাহর একটি নাম। কেননা আল্লাহ যাবতীয় দোষ ত্রুটি হতে মুক্ত। পরিভাষাগত অর্থে মুসলমানদের পরস্পর সাক্ষাতে আসসালামু আলাইকুম বলে দুয়া কামনা, নিরাপত্তা দান ও কুশল বিনিময়কে সালাম বলা হয়। সালাম ইসলামের শিক্ষার মধ্যে অন্যতম। ওলামায়ে কিরামের ইজমা হয়েছে যে, সালাম দেয়া সুন্নত। আর সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব। অবশ্য কারো কারো মতে সালামের মতো উত্তর দেয়াও সুন্নত। নামাজরত ব্যক্তি,পানাহাররত অবস্থা, মল-মুত্র ত্যাগ, কুরআন তিলাওয়াত অবস্থায় সালাম দেয়া ও উত্তর প্রদান করা মাখরুহ।
বিশ্বমানবতার শ্রেষ্ঠ মুক্তির দূত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শিখিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে মুসলিম ভাতৃত্ব সুদৃঢ় ও মজবুত হবে। কিভাবে মানুষকে সন্মান দিতে হবে। তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন সুন্নাহ, যার অনুকরণ করলে আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। দুনিয়ায় সম্মানের জীবন যাপন করতে পারবো আর আখিরাতের অনন্ত জীবনে থাকবে শান্তি আর শান্তি।
তাই আসুন আমরা সকলে আল্লাহর কিতাব কুরআন এরং রাসুলের (সাঃ) সুন্নাহ মেনে চলি তাহলে পথভ্রষ্ট হবনা।
(তথ্য সুত্র-মিশকাতুল মাসাবীহ)