কর্মজীবী গর্ভবতী নারীদের জন্য ৬টি জরুরী বিষয়

প্রকাশঃ আগস্ট ৫, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

pragenentবর্তমান যুগের নারীরা আগের চাইতে অনেক বেশি ক্যারিয়ার সচেতন হয়ে থাকে। কিন্তু একজন নারীকে শুধুমাত্র ক্যারিয়ার নয় বরং সংসার ও কর্মজীবন দু’ক্ষেত্রেই বেশ দক্ষতার সাথে চালিয়ে নিয়ে যেতে হয়। আর এ যুগের নারীরা সেটাই করে থাকেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে সবকিছু সামাল দিতে গিয়ে নিজের দিকে খেয়াল করতে পারেন না অনেকে নারীই।

কিন্তু কর্মজীবী গর্ভবতী নারীদের নিজের স্বাস্থ্যের দিকে অবশ্যই নজর দেয়া উচিত। স্বাভাবিক গর্ভধারণে কাজ করা ক্ষতিকর কিছু নয়। কিন্তু গর্ভধারণের ক্ষতিকর দিকগুলো এড়িয়ে চলতে সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই গর্ভবতী কর্মজীবী নারীরা নিজের ও অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মেনে চলুন নিচের এই জরুরী বিষয়গুলো।

 

১) দিনে ৩ থেকে ৫ বার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ

কাজের মধ্যে ডুবে থেকে খাওয়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না একেবারেই। তবে একবারে বেশি খেয়ে ফেলা নয়। কাজের ফাঁকেও নিজের জন্য সময় বের করে নিয়ে অন্তত ৩ থেকে ৫ বার স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিতে হবে। কাঁচা সবজি, ফলমূল, দই, ডিম ইত্যাদি ধরণের খাবার খেতে হবে। আর ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ অনুযায়ী চলার ব্যাপারে অবহেলা নয় কাজের কারণে।
২) প্রচুর পরিমাণে পানিঃ

গর্ভধারণের সময় অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব এবং মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যা ঝটপট দূর করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দেহকে যতোটা সম্ভব হাইড্রেট রাখুন নতুবা বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে এই গরমের সময় একটু পরপর পানি পান করার অভ্যাস রাখা স্বাস্থ্যকর।
৩) কর্মক্ষেত্রে হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখুনঃ

হুট করে ক্ষুধা পেলে বা সময় পেলে হাতের নাগালে যা পেলেন তা খেয়ে দিন পার করার অভ্যাসটি দূর করে দিন একেবারেই। এতে জটিলতা দেখা দেয়। হাতের নাগালে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখুন কর্মক্ষেত্রেও যাতে ক্ষুধা ও রক্তের সুগারের মাত্রা কমে যাওয়া ইত্যাদিতে সমস্যা না হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার একেবারেই খাওয়া বন্ধ করুন।
৪) হালকা ব্যায়ামঃ

কর্মজীবী নারীদের সময়ের অভাবে অনেক সময় ব্যায়ামের বিষয়টা এড়িয়ে যেতে দেখা যায় তা মোটেই উচিত নয়। অফিসে বসে না থেকে একটু হেঁটে নেয়া, গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী বসে বসেই কিছু হালকা ব্যায়াম করে নেয়ার অভ্যাস করা অনেক বেশি জরুরী। এতে রক্ত জমাট বাঁধা অনেক কমে যায় এবং হাতে পায়ে পানি কম আসে।
৫) পরিমিত বিশ্রামঃ

কর্মজীবী নারীদের বিশ্রামের দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত। যারা গর্ভধারণের পরও নিয়মিত অফিস যাতায়াত করেন তাদের উচিত রাতের বেলা ১০-১১ ঘণ্টার ভালো একটি ঘুমের। এই ঘুম অবহেলা করবেন না মোটেই। এবং সেই সাথে কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। একটানা কাজ না করে কাজ ভাগ করে ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিয়ে নেবেন অবশ্যই।
৬) মানসিক চাপ একেবারেই নয়ঃ

কাজের চাপ ও মানসিক চাপ সবসময়েই ছিল এবং থাকবে। কিন্তু নিজের ও অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে হলেও এই সময়টাতে কাজের চাপ ও মানসিক চাপ একেবারেই নিতে যাবেন না।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G