ভুতুড়ে শহর মহেঞ্জো-দারো

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১০, ২০২৪ সময়ঃ ১১:২২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:২৬ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

আপনি কি কখনো শুনেছেন এমন একটি শহরের কথা, যেখানে মানুষ হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল? যেখানে রাতের আঁধারে বাতাসে ভেসে আসে কান্নার আওয়াজ? আজ আমরা আপনাদের নিয়ে যাবো প্রাচীন সভ্যতার এক ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর মহেঞ্জো-দারোতে, যা পরিচিত ‘মৃতদের ঢিবি’ নামে।

১. শহরের পরিচিতি:
খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে সিন্ধু উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল মহেঞ্জো-দারো। এটি ছিল অত্যাধুনিক একটি শহর। এখানে ছিল পাকা রাস্তাঘাট, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, এমনকি ড্রেনেজ সিস্টেমও। কিন্তু সেই শহরটি হঠাৎ একদিন যেন সময়ের গহ্বরে হারিয়ে গেল। বিজ্ঞানীরা আজও জানেন না, কেন এই শহরের সব মানুষ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

২. রাতের ভয়ঙ্কর কান্নার গল্প:
স্থানীয় লোককথা বলে, রাত গভীর হলে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই শহরের ভেতর থেকে শোনা যায় কান্নার আওয়াজ। একবার এক প্রত্নতাত্ত্বিক দল রাতের বেলা শহরটিতে গবেষণা করতে গিয়েছিল। হঠাৎ তাদের মধ্যে একজন শুনতে পেল, যেন কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। সে ফিরে তাকাল, কিন্তু আশপাশে কাউকে দেখতে পেল না। পরের দিন সকালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় শহরের কেন্দ্রীয় স্নানাগারের পাশে। তার মুখে ছিল গভীর আতঙ্কের ছাপ।

৩. পাথরের মূর্তির অভিশাপ:
মহেঞ্জো-দারোর খননে একটি অদ্ভুত মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, মূর্তিটি কোনো প্রাচীন অভিশাপ বহন করে। যেই এই মূর্তির দিকে বেশি সময় তাকিয়েছে, তার সাথে নাকি অদ্ভুত কিছু ঘটেছে। একবার এক পর্যটক মূর্তির ছবি তুলতে গিয়ে দেখলেন তার ক্যামেরা কাজ করছে না। পরে ছবি দেখার সময় দেখা গেল, মূর্তির চারপাশে একটি অন্ধকার ছায়া দাঁড়িয়ে আছে। তিনি সেই রাতেই প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

৪. পারমাণবিক বিস্ফোরণের গল্প:
বিজ্ঞানীরা একবার শহরের কিছু পাথরের টুকরো পরীক্ষা করে দেখলেন, সেগুলোর তাপমাত্রা এত বেশি ছিল যেন সেখানে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটেছিল। কিন্তু কীভাবে? মহেঞ্জো-দারোর প্রাচীন নথি বলে, আকাশ থেকে আগুন নেমে এসেছিল এবং শহরটিকে গ্রাস করেছিল। এটি কি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল, নাকি ভিনগ্রহবাসীদের আক্রমণ?

মহেঞ্জো-দারো আজও রহস্যময় এবং ভুতুড়ে। এই শহরের প্রতিটি ইট যেন বহন করে এক নিষ্ঠুর অতীতের গল্প। আপনি কি কখনো এই শহর দেখতে যেতে চাইবেন? সাবধান, রাতের বেলা কান্নার আওয়াজ শুনতে পারেন। গল্পটি ভালো লেগে থাকলে লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। আমাদের সঙ্গে থাকুন আরও ভুতুড়ে গল্পের জন্য!”

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G