রক্তদানে করণীয়

প্রকাশঃ নভেম্বর ১০, ২০১৫ সময়ঃ ৮:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

হেল্‌থ ডেস্ক

bloodরক্তদানের আগে আমাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন না। রক্ত দাতার অবশই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, পালস এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে। রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। শারীরিক ওজন ৪৫ কেজি বা এর বেশি হতে হবে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থাৎ বডি মাস ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না। চর্মরোগ থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

রক্তদানের আগে, রক্তদাতার যেসমস্ত টেস্টের প্রয়োজন
এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, পালস রেট, রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন, হিমোগ্লোবিন টেস্ট, ব্লাড সুগার বা চিনির মাত্রা পরিমাপ করা, ইসিজি।

পরীক্ষাগুলো খুব সাধারণ। তাই রক্ত দাতাদের আগে থেকে টেস্ট করে রাখা উচিত। বিপদের সময় যাতে বিলম্ব না হয়।

রক্তদানে বিশেষ সতর্কতা
রক্তদানের ৪ ঘণ্টা আগে ভালোভাবে খাদ্যগ্রহণ করতে হবে। খালি পেটে রক্ত দান করা ঠিক নয়।

অ্যাসপিরিন ও এ জাতীয় ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্ত দেয়া যাবে না। রক্তদানের ৪৮ ঘন্টা আগে এমন ওষুধ বন্ধ করতে হবে।

কোনোরূপ এনার্জি ড্রিংক রক্তদানের ২৪ ঘণ্টা আগে সেবন করা যাবে না।

শরীরে কোনো উল্কি বা ট্যাটু করানো হলে বা নাক কান ফুটো করানো হলে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর রক্ত দিতে হবে।

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা অবস্থায় রক্ত দেওয়া উচিত নয়।

বিষয়গুলো জরুরি তাই রক্তদাতা কে অবশ্যই এগুলো মানতে হবে। একই সাথে রক্ত দেওয়ার সময় যে সুঁচ ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে নেবেন তা নিরাপদ কিনা। আপনার একটু অসাবধানতায় রক্তে বাসা নিতে পারে কোনো মরণব্যাধির। তাই রক্তদান করতেও অতিরিক্ত সতর্কতা রাখা উচিত।

যারা রক্ত দিতে পারবেন না
ক্যান্সারের রোগী, হিমেফিলিয়াতে যারা ভুগছেন, যারা মাদক গ্রহণ করেছেন, গর্ভবতী মহিলা, অতিরিক্ত শ্বাস কষ্ট যাদের আছে, যাদের এইচআইভি পজেটিভ তথা এইডস আছে, যাদের ওজন গত দু’মাসে চার কেজি কমে গেছে।

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ চার মাসে অন্তত একবার রক্ত দিতে পারেন। রক্তদাতা একবার রক্ত দিলে তার শরীরের ১০ ভাগের মাত্র এক ভাগ রক্ত কমে। কিন্তু এই পরিমাণ রক্ত অল্প সময়েই আগের মতো হয়ে যায়। শরীরে সাধারণ পাঁচ থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে। রক্তদাতা সাধারণত এক দফায় ৪০০-৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দিয়ে থাকেন। এই পরিমাণ রক্ত দেওয়াতে দেহের ওপর তেমন কোনো প্রভাবই পড়ে না। তাই রক্ত দাতার অযথা ভয় ভীতির কোনো কারণ নেই। তবে রক্ত দানের আগে এবং পরে বিশেষ কিছু সতর্কতা পালন করলে দশেরও ভালো হবে, নিজেরও ভালো হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G