শীতের আরামে পাতলা চাদর

প্রকাশঃ নভেম্বর ২, ২০১৫ সময়ঃ ২:৩৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ

হালফ্যাশন ডেস্ক

chadorগুটি গুটি পায়ে কুয়াশার চাদর ঢেকে এগিয়ে আসছে শীত। এ সময় বের হলে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। সন্ধ্যায়ও ঠিক তেমন। শীতের শুরুতে এই গরম এই ঠাণ্ডা। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে হালকা একটা চাদর না হলেই যেন নয়।

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চাদর পরা এখনকার ট্রেন্ড। ছেলেমেয়ে উভয়ই এখন শীতের ফ্যাশন হিসেবে চাদর ব্যবহার করেন। হিমেল হাওয়া বিকেলটাকে সুন্দর করতে বেছে নিতে পারেন একটি রঙিন চাদর। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে চাদরও আপনার সুন্দর সঙ্গী হতে পারে। এ বিষয়ে রঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা বলেন, ‘ইদানীং শীতের সময়টা তারুণ্যের কাছে একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে রঙে ডিজাইন করা হচ্ছে নানারকম শীত কাপড়ের। হালকা শীতের জন্য তাদের পছন্দ পাতলা চাদর। এটা ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন সমানভাবে। চাদরের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে চাইলে এটাকে মাফলার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।’

কর্মজীবী নারীরা যারা শাড়ি কিংবা থ্রিপিস পরেন তারা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চাদর ব্যবহার করতে পারেন। থ্রিপিসের সঙ্গে ওড়না হিসেবে এটা বেশ মানানসই। ছেলেরা শার্ট, গেঞ্জি এবং পাঞ্জাবির সঙ্গে চাদর পরতে পারেন। এবারে চাদরের রঙের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে নীল, খয়েরি, কফি, মেজেন্টা, বাদামি, অফ-হোয়াইট ইত্যাদি। আবার অনেক চাদরে দেখা যাচ্ছে দুই পাশে দুই রকম কাchador 2লার ব্যবহার করা হয়েছে যাতে একটি চাদর ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের সঙ্গে পরা যায়।

শাল-চাদরের কদর আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু তা নিতান্তই বয়সী মানুষের মধ্যে প্রচলিত হয়ে আসছে। কিন্তু এখন তেমনটি নেই। ইদানীং তরুণ ছেলেমেয়ের মাঝেও শাল-চাদরের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, শাল শুধু একটি বা দু’টি ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর ডিজাইন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে মোটা শাল, পাতলা শাল; যা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে আর ফ্যাশনটাকে আরো বাড়াতে আমরা যত বেশি সম্ভব ডিজাইন সমৃদ্ধ করছি। তাতে থাকছে আলাদা ধাঁচের সব কাপড়। এসব কাপড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।

বিবিয়ানার ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার বলেন, আমরা হালকা এই শীতের জন্য পাতলা কাপড়ের প্রাধান্য দিয়েছি। এর পর বেশি শীতের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে উলেন কাপড়ের শাল। এছাড়া সুতা, চুমকি, পুঁতি, এমব্রয়ডারি, ব্লকপ্রিন্ট, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্ট, স্কেচ, কাশ্মীরি শাল এবং জরির কাজ করা শাল তো থাকছেই।

আড়ংয়ের বিভিন্ন শো রুমেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের শাল চাদর। ক্রেতার সুবিধা সব সময়ই মাথায় রেখে পণ্য বাজারজাত করা হয়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। বরং কিছু নতুন ডিজাইন আনা হয়েছে, যা বিভিন্নতার পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় সাজিয়ে দেবে শীতের সকাল-বিকেলকে। তাছাড়া প্রত্যেকটি আউটলেটে পাওয়া যাবে হাতের ডিজাইনে কিছু শাল, যা ব্যবহারে অন্যের নজর কাড়বে খুব সহজেই। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজনীয় চাহিদা শীত নিবারণ হবে অতি আপন মনে। সিনথেটিক কাপড়ের ওপর হাতের কাজ, পুঁতি বসানো এবং হাতের সেলাই করা বিভিন্ন ফুলের ডিজাইন উঠে এসেছে এবারের ডিজাইনগুলোয়।

কোথায় পাবেন : বঙ্গবাজার, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, মৌচাক, আজিজ সুপার মার্কেটের নিউমার্কেট, গাউছিয়া ইত্যাদি জায়গায় সাশ্রয়ী দামে পাতলা চাদরের সন্ধান পাওয়া যাবে। এছাড়াও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো নিয়ে এসেছে রকমারি চাদরের সম্ভার। এসব ফ্যাশন হাউসেও পাওয়া যাবে সাধ্যানুযায়ী পছন্দসই চাদর।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G