শোকাবহ পিলখানা হত্যা দিবস

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬ সময়ঃ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

bgb

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো একটি দিন। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা। প্রাণ হারান ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। ঘটনার পর পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। পিলখানা ট্রাজেডির সপ্তম বার্ষিকী আজ।  

২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা ২৭ মিনিট। দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন। বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে এবং তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলেন। চারটি প্রবেশ প্রবেশপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশেপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও একজন সৈনিক, দুইজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ জন বিডিআর সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারাণ।

পিলখানায় এ বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের সাংগাঠনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়। শুরু হয় বিডিআরকে পুনর্গঠনের কাজ। বিডিআরের নাম, পোশাক, লোগো, সাংগঠনিক কাঠামো, পদোন্নতি ইত্যাদি ব্যাপার পুনর্গঠন করে নতুন নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্ম হয়।

army

এ ঘটনার ৪১০ আসামি খালাস চেয়ে এবং ৬৯ জনের সাজা চেয়ে হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের করা পিলখানা (বিডিআর) হত্যা মামলার আপিল শুনানি প্রায় শেষের পথে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এখন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আসামিপক্ষের শুনানি শেষে কোনো বক্তব্য থাকলে সেটা উপস্থাপন করবেন দুইপক্ষ। পরে রায় ঘোষণার দিন আসতে পারে।
 
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে এ মামলার শুনানি চলছে।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে, দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।

গত বছরের ৪ জানুয়ারি সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। প্রথমবারের মতো ৫ জানুয়ারি এ বেঞ্চ বসে ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন। এরপর ১৮ জানুয়ারি থেকে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G