সৌন্দর্য সম্ভারে রূপসা সেতু

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫ সময়ঃ ৮:০০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

ফারজানা ওয়াহিদ

সৌন্দর্যসৌন্দর্য সম্ভার বুকে নিয়ে ঐশ্বর্যময়ী নদী। বাঁধাহীন তার চলা অনন্তকাল ধরে। নদীর জলের গন্ধে ভরে যায় স্নিগ্ধ তীর। ঠিক সেই নদীর উপর দিয়ে নির্মাণ হয়েছে এক মনকাড়া নির্মাণশৈলী সেতু।

সেতুটির নাম খানজাহান আলী সেতু হলেও রূপসা সেতু হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। সেতুটির মাঝে দাড়ালেই মনে হবে কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি কিংবা উন্নত বিশ্বের কোন সেতুতে দাড়িয়ে আছি।

সৌন্দর্যখুলনা শহরের রূপসা থেকে ব্রিজের দূরত্ব ৪.৮০ কি.মি। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায়। কারণ, এই সেতু খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বিশেষত মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে।

বর্তমানে সেতুটি খুলনার একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। রাতে সেতুর ওপর থেকে খুলনা শহরকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। উৎসবের দিনগুলোতে এই সেতুতে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সীরা ভিড় করেন ও আনন্দ করেন।

সৌন্দর্যজাপানি সহায়তায় সেতুটি নির্মিত হয়েছে। এই সেতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, দুই প্রান্তে দু’টি করে মোট চারটি সিড়ি রয়েছে যার সাহায্যে মূল সেতুতে উঠা যায়। কোনো বিশেষ দিন ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর দর্শণার্থী সেতুটি পরিদর্শন করতে আসেন।

ব্রিজে আগত বিনোদনপ্রেমীদের রসনা মেটাতে আশপাশেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ফাস্টফুড ও খাবারের দোকান। ইতোমধ্যে ব্রিজকে ঘিরে নগরীর জিরোপয়েন্ট থেকে শুরু করে রূপসার কুদির বটতলা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বেশ কয়েকটি পাটের মিল, মাছ পক্রিয়াকরণ কোম্পানি, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এবং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ভূতের আড্ডা নামের একটি পার্ক।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G