আজকের অস্থির জীবনধারা আমাদের ঘুম,খাওয়া থেকে সবকিছুতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অফিসে কাজের চাপ, বিভিন্ন ধরনের টেনশন সব মিলিয়ে বিরাট স্ট্রেস। কাজের টার্গেট, সময়সীমা-এই চিন্তাগুলো মাথার মধ্যে আপনার ঘুরপাক খেতে থাকে। আর এ জন্যই অফিসে প্রায় প্রতিদিনই আপনি কঠোর পরিশ্রমও করেন। সেভাবে কোনও বিশ্রাম নেওয়া হয়ে ওঠে না। ক্রমান্বয়ে এ ধরনের কাজের ফলেই তৈরি হয় অফিস সিনড্রোম।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলেই তৈরি হয় এই সমস্যা। এছাড়াও বসে থাকার ধরন, কাঁধ, কবজি, আঙুল, কোমর, হাঁটু, পিঠ এবং চোখের উপর যে চাপ পড়ে তাতেই তৈরি হয় অফিস সিনড্রোম। এই বিষয়ে সচেতন না হলে প্যারালাইসিস হতে পারে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। আপনিও অফিসে হাড় ভাঙা খাটুনি খাটেন, আপনার এই সিনড্রোমটি নেই তো? কতগুলো লক্ষণ সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকে সাবধান হয়ে নেওয়া যায়। অফিস সিনড্রোম এর লক্ষণগুলোর বিষয়ে জেনে নিন।
ওভার ওয়েট: এটি মূলত অপুষ্টি এবং অনেক্ষন একজায়গাতে বসে কাজ করার কারণে হয়।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজিস: স্নাক্স জাতীয় খাবার অফিস টাইমে বেশি খাওয়া হয় আর একারণে এই সমস্যা দেখা যায়।
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস: ধূমপান, ক্যাফিনযুক্ত পানীয়, পুষ্টিহীনতা, মানসিক চাপ এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে এই রোগ দেখা দেয়।
হেমরহইডস: অনেক্ষন একই সাইট বসে বিরতিহীন কাজ করার কারণে এই রোগ দেখা দেয়।
ড্রাই আই সিনড্রোম: কম্পিউটার এর স্ক্রিনের সামনে অনেক্ষন বসে কাজ করা,এয়ার কন্ডিশন এর মধ্যে থেকে কাজ করার কারণে চোখের পানি শুকিয়ে যায় ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
মাসোল্স এন্ড বোন্স পেইন : একজায়গায় বসে থেকে বিরতিহীন কাজ করার কারণেই বেশিরভাগ অফিস কর্মীদের এই রোগ এর মুখোমুখি হতে হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন