ইভিএম বাতিল, ‘না ভোট’ফেরানো; প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় প্রকাশ বাধ্যতামূলক

প্রকাশঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৫ সময়ঃ ৭:০৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:০৩ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০২৫-এর খসড়া সংশোধন করে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে—ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ এই সংশোধনী অনুমোদন দেয়। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০২৫ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

আইন উপদেষ্টা জানান, আরপিওর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হলো ইভিএম বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল। এর ফলে কোনো নির্বাচনী আসনে কেবল একজন প্রার্থী থাকলেও ভোটাররা ‘না ভোট’ দিতে পারবে। যদি কোনো প্রার্থী ভোটে নির্বাচিত না হন, সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন হবে।

নতুন সংশোধনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞা সম্প্রসারণ করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পলাতক আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি আয়-সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থীর আর্থিক বিবরণ জনগণ সহজেই জানতে পারবে।

অন্যান্য সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনী জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা, রাজনৈতিক দলকে ৫০০ টাকার বেশি অনুদান দিতে হলে ব্যাংকিং চ্যানেল বাধ্যতামূলক, এবং অনুদানদাতাকে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। প্রবাসী ভোটার এবং নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ডাক ভোটের সুবিধা পাবেন। ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলে পুরো এলাকার ভোট বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে।

আইন উপদেষ্টা জানান, জোটের প্রার্থীদের প্রতীক ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে, যাতে ভোটাররা সহজে বুঝতে পারেন কোন দল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G