এরশাদের রাডার দুর্নীতি মামলার রায় বুধবার

প্রকাশঃ এপ্রিল ১৮, ২০১৭ সময়ঃ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ

বিমানের রাডার কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২৫ বছর আগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা হবে বুধবার।

গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লাহ এই দিন ধার্য করেন।

ঢাকা দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি তাপস কুমার পাল জানান, বুধবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হাসান মোল্লা এ রায় ঘোষণা করতে পারেন।’

অপরদিকে এরশাদের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বুধবার বেলা তিনটার দিকে আদালতে উপস্থিত থাকবেন।’

১৯৯২ সালে দায়ের করা এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নিম্ন আদালতে মামলাটি যুক্তিতর্ক পর্যায়ে যায়। এ অবস্থায় গত বছর নভেম্বরে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে করা আবেদন বিচারিক আদালতে খারিজ হলে উচ্চ আদালতে যায় দুদক।

এ বিষয়ে শুনানি করে হাই কোর্ট গত ২৪ নভেম্বর দুদকের পক্ষে আদেশ দিয়ে যে সাক্ষীদের বক্তব্য শোনা হয়নি, তা শেষে করে ৩১ মার্চের মধ্যে এ মামলার বিচার শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ মামলার আরেক আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি হাই কোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দেয়।

দুদক ঐ আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও তা গ্রহণ হয়নি।

ফলে গত ২৮ মার্চ থেকে ফের বিচারিক আদালতে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয় বলে জানান দুদকের নিম্ন আদালতের অন্যতম কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে।

ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ওয়েস্টিন হাউজের রাডার কিনে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

তদন্ত শেষে ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ অগাস্ট এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত থাকে।

আইনি বাধা কাটলে মামলা হওয়ার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।

২০১৪ সালের ১৫ মে এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন এরশাদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দেন।

সেদিন অন‌্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বক্তব‌্য দেন। অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G