কাতার বিশ্বকাপ : তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে ‘ইউরোপিয়ানরা কি সমকামী!’

প্রথম প্রকাশঃ নভেম্বর ৯, ২০২২ সময়ঃ ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:০২ পূর্বাহ্ণ

ক্রীড়া ডেস্ক

নারী-পুরুষের বিভেদ, সমকামিতা নিষিদ্ধ করে রাখার মতো আইনগুলিরও তীব্র বিরোধী এই জার্মান নারী ফুটবলার
নারী-পুরুষের বিভেদ, সমকামিতা নিষিদ্ধ করে রাখার মতো আইনগুলিরও তীব্র বিরোধী এই জার্মান নারী ফুটবলার

কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের বিরোধী ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলার উব্বেন-মোয়। নারী-পুরুষের বিভেদ, সমকামিতা নিষিদ্ধ করে রাখার মতো আইনগুলিরও তীব্র বিরোধী এই জার্মান নারী ফুটবলার। তাই জাতীয় দলকে সমর্থন করলেও বিশ্বকাপের খেলা দেখবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যদিকে জার্মান মন্ত্রী কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক করাতে ফিফার সমালোচনা করেছে সমকামীদের সমর্থন করে। আরো এক ধাপ এগিয়ে ফ্রান্সের জাতীয় দৈনিকে কাতারের ফুটবল দলকে ‘সন্ত্রাসী’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে কার্টুন ভিডিও প্রকাশ করেছে।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ব জুড়ে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ইউরোপিয়ানরা ‘সমকামী’? প্রশ্নটা শুতে বাজে লাগলেও এটাই এখন বাস্তবতা। পুরুষ-পুরুষ বা নারী-নারী শারিরীক সম্পর্ক কি করে উচ্চ স্তরের দেশ গুলোর উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ গুলো সমর্থন করছে? যেহেতু করছে, তাই প্রশ্নটাও উঠছে।

বিশ্বকাপে নিজের দেশ ইংল্যান্ডকে সমর্থন করলেও একটিও খেলা দেখবেন না আর্সেনালের ফুটবলার। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় সার্লট উব্বেন-মোয়। কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের তীব্র বিরোধী তিনি। বেশ ক্ষুব্ধও। এই নারী ফুটবলার কি তাহলে সমকামী!

বিশ্বকাপ আয়োজক কাতারে মাঝে মধ্যেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। নারী-পুরুষের বিভেদ, সমকামিতা নিষিদ্ধ করে রাখার মতো আইনগুলির তীব্র বিরোধী উব্বেন-মোয়। দেশ হিসাবে তাই তাঁর পছন্দের তালিকায় কাতার নেই। তাই প্রতিবাদে উব্বেন-মোয় কাতার বিশ্বকাপের কোনও খেলা না দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘খেলা না দেখার সিদ্ধান্তটা কঠিন। কিন্তু আমাদের জাতীয় দলের একটা বলিষ্ঠ মতাদর্শ রয়েছে। সেটাই আমার সিদ্ধান্তের কারণ। জানি আমার সিদ্ধান্তটা নিয়ে অনেক কথা হবে। তবু এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’’ উব্বেন-মোয় দেশ হিসেবে কাতারকে অপছন্দ করতে পারেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে, কিন্তু সমকামীদের সমর্থনে একটি দেশের বিরোধীতা কতটা সুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে।

কাতারে বিশ্বকাপ হওয়ায় খুশি নন উব্বেন-মোয়। এ ব্যাপারে তাঁকে সমর্থন করছেন জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালেক্স গ্রিনউড। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ কোথায় হবে সেটা আমরা ঠিক করতে পারি না। তবে নেতিবাচক বিষয়গুলোকে ইতিবাচকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারি। একটা দেশ বা জাতি হিসাবে আমরা যে গুলো বিশ্বাস করি সে গুলোকে গুরুত্ব দিতে পারি। নারীদের সমান অধিকারের কথা বলতে পারি। আমার মনে হয় পুরুষরাও এটাকে খোলাখুলি সমর্থন করবেন।’’ গ্রিনউডও কাতার বিশ্বকাপে নিজের দেশকে সমর্থন করলেও খেলা না দেখার কথাই ভেবেছেন।

তাহলে বলা যেতেই পরে আগামীতে যে সব দেশ সমকামীদের সমর্থন দেবে ফিফার উচিত হবে সে দেশকে বিশ্বকাপ আয়োজক বানানো।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G