কুবিতে পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র চুরির বিচার হয়নি এখনও

প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২০, ২০১৭ সময়ঃ ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ

তানভির সাবিক, কুবি প্রতিনিধি:

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্নপ্রত্র ও উত্তরপত্র চুরির ঘটনায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এ ঘটনা তদন্ত কমিটিতেই সীমাবদ্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এদিকে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র চুরির ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার  ঝড় উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ঘটনার ৬দিন পরে ২৭ মার্চ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদউল্লাহ খানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ‘ফিজিক্স-২’ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মানউন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসেন ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: সিরাজুল ইসলাম। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে উত্তরপত্র বিতরণের সময় সিরাজুলের কাছে লিখিত উত্তরপত্র পান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শক।

 এদিকে প্রশ্নপত্র চুরি ও উত্তরপত্র চুরির ঘটনায় সহযোগীতা করায় বিভাগের স্টাফ নির্মল চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। প্রশ্নপত্রের মত এত গোপনীয় বিষয়টি কিভাবে চুরি হল এ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। কেউ বলছেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এর দ্বায় কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রশ্নপত্রের মত এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করলেন না এই নিয়ে ক্ষোভ কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। সেই সাথে বিভাগ থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্র চুরি হওয়ার মত বিষয়ে বিভাগের সভাপতি দ্বায় এড়াতে পারেন না বলেও মত অনেকের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মালেক উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হওয়ায় এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গরিমসি করছে। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রশ্ন ও উত্তরপত্র চুরি হওয়ায় বোঝা যায় প্রশাসনের যর্থেষ্ট গাফিলতি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত তবে তদন্ত কমিটি কার্যক্রমে দীঘসূত্রিতা দেখা যাচ্ছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদ উল্লাহ খান বলেন, ‘আমার সর্বোচ্চ সর্তকতায় তদন্ত করছি। কার্যক্রম চলছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G