গাজার উদ্দেশ্য মানবিক নৌযাত্রা থামবে না: শহিদুল আলম

প্রকাশঃ অক্টোবর ৪, ২০২৫ সময়ঃ ১১:১৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:১৪ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ‘কনসায়েন্স’ জাহাজ থেকে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, বিশ্ব নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের এই নৌবহরকে কেউ থামাতে পারবে না। তিনি বলেন, ইতিহাসে কোনো স্বৈরশাসক জনগণের শক্তির সামনে টিকে থাকতে পারেনি—ইসরায়েলও ব্যতিক্রম হবে না।

শহিদুল জানান, ‘কনসায়েন্স’ নামের জাহাজটি গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে অনুসরণ করে। জাহাজটিতে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তিনি একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলেন, এই নৌযাত্রা প্রতীকী হলেও বাস্তবে এটি সমুদ্রপথে একসঙ্গে চলা সবচেয়ে বড় মানবিক বহরগুলোর মধ্যে একটি।

জাহাজটি মূল বহরের আখিরে থেকে যাত্রা শুরু করলেও এতে অংশগ্রহণকারী দল সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। শহিদুল জানান, ‘কনসায়েন্স’ দ্রুতগতিতে চলতে পারায় মধ্যসমুদ্রে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং এখন একসঙ্গে ধীরে ধীরে গাজার দিকে এগোচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা এটিকে মানবিক সংহতির প্রতীক বলে বর্ণনা করেছেন।

শহিদুল জানান, এই বহর ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালির ওত্রান্তো থেকে যাত্রা শুরু করে। এর আগেই ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র কয়েকটি জাহাজকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে; এমনকি প্রথমে আটক এড়ানো কিছু জাহাজও পরে আটক হয়। তিনি আরও বলেন, “কনসায়েন্স” ছাড়াও আগে থেকে আটটি নৌকা এবং “ফ্লোটিং ফ্রিডম কোয়ালিশন”-এর দুইটি জাহাজ যাত্রা করেছে; তাদের অবস্থার খবর এখনও নিশ্চিহ্ন।

শহিদুল আলম বলেন, বিশ্ব নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও ভণ্ডামির মধ্যে গাজার অবরোধ ভাঙতে সাধারণ মানুষ নিজেরাই এগিয়ে এসেছে। তারা দৃঢ় সংকল্প করেছেন—গাজার অবরোধ ভাঙতে হবে; তাদের আটক করলেও নতুন বহর আসবে। তাই জনগণের ঐক্য ও মানবিক দাবি শেষ পর্যন্ত সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G