প্রতিক্ষণ ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানের জন্য পোষ্য কোটা এবার বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া আসনের সংখ্যা আনুমানিক ২০ শতাংশ কমানো হচ্ছে এবং সব ইউনিটে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতার জিপিএও কমানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা বিভিন্ন ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিটের পরীক্ষা ২ জানুয়ারি, ডি ইউনিট ৩ জানুয়ারি, সি ইউনিট ৯ জানুয়ারি এবং বি ইউনিট ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। উপ-ইউনিটগুলোর পরীক্ষা ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা কমানো হয়েছে। এ ইউনিটে মোট জিপিএ ৭.৭৫, যেখানে এসএসসিতে ন্যূনতম ৪ এবং এইচএসসিতে ৩.২৫ থাকতে হবে। বি ইউনিটে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ এবং বিজ্ঞান ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭.৫০, সি ইউনিটে ৭.৫০ এবং ডি ইউনিটে সব গ্রুপের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফল তুলনামূলক খারাপ হওয়ায় এবার যোগ্যতা কমানো হয়েছে, যাতে বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারে। ধীরে ধীরে প্রতিটি বিভাগের সর্বোচ্চ আসন ৮০ পর্যন্ত নামানো হবে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৯টি কোটা বহাল থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, বিদেশি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, অ-উপজাতি বাঙালি, শারীরিক প্রতিবন্ধী, খেলোয়াড় ও দলিত জনগোষ্ঠী কোটা থাকবে। তবে পোষ্য কোটা এবার পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।