দশম গ্রেডের দাবিতে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থানে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

প্রকাশঃ নভেম্বর ৮, ২০২৫ সময়ঃ ১:৪০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৪০ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। শনিবার সকাল থেকে চারটি শিক্ষক সংগঠনের জোট ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে।

তাদের তিনটি প্রধান দাবি হলো— সহকারী শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পর উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসন, এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, “২০ হাজারের বেশি শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষকরা আসছেন, অনেকেই এখনও পথে রয়েছেন। আমি দেশের সব সরকারি প্রাথমিক শিক্ষককে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে আরও তিনটি সংগঠন—বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরাও এতে সংযুক্ত হয়েছেন।

দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সহকারী শিক্ষকরা।

খায়রুন নাহার লিপি বলেন, “বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্নাতক ডিগ্রি নিয়েও দশম গ্রেড পাচ্ছেন। নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর, এমনকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরাও একই যোগ্যতায় দশম গ্রেডে আছেন। অথচ আমরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড বা বিটিপিটি কোর্স করেও ১৩তম গ্রেডে আছি। তাই আমরা সমান মর্যাদা ও ন্যায্য বেতন কাঠামোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি।”

অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হলে ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G