নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংকের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না: বিএনপি
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলাকালীন বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে যে, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা অন্যান্য পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসলামী ব্যাংক ও সমমনা প্রতিষ্ঠানের কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ৩৬ দফার একটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগে এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না, যেগুলো দলীয়ভাবে পরিচিত। উদাহরণ হিসেবে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে—ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক তাদের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং শূন্য পদগুলোতে দ্রুতভাবে দলীয় লোকজন নিয়োগের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সিইসির কাছে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা কোনো প্রস্তাব দিইনি।”
তবে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ড. মঈন খান বলেন, বিতর্কিত কাউকে ভোটের দায়িত্বে না দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি এক দলিলও হাতে দেখান, যার শিরোনাম ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবসমূহ, নির্বাচন কমিশনের সহিত সভার জন্য প্রস্তাবিত কার্যপত্র’। এর ১০ নম্বর পয়েন্টে এই বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।










