পালং শাকের গুণাগুণ

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ১:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম.

downloadপালংশাক পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগুলোর একটি। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে, এর দ্বারা বহুভাবে উপকৃত হওয়া যায়।

মাঝারি অথবা গাঢ় সবুজ রঙের পরিষ্কার, সতেজ ও টাটকা পালংশাক খাওয়া ভালো। দেরি হওয়ার সাথে সাথে পুষ্টিমান কমে গিয়ে একসময় তা ‘নাই’ হয়ে যেতে পারে। কেবলমাত্র রান্নার বা সালাদ তৈরির আগে, পালংশাক ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়। আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি পাতা ধুয়ে নিতে পারলে ভালো।

যথাসম্ভব টাটকা অবস্থায় খেতে পারলে পুষ্টিমান বজায় থাকে। বায়ুশূন্য প্লাস্টিকের ব্যাগে করে পালংশাক ফ্রিজে স্টোর (৩-৪ দিন) করে রাখা যায়। রান্নার সময় পালংশাকে নামমাত্র পানি দিয়ে বা ধোয়ার পর পানি ছেঁকে নিয়ে অল্পসময়ে (১-২ মিনিট) সিদ্ধ করে খেতে পারলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বা ডুবন্ত পানিতে রান্না করলে, পালংপাতার দুর্দান্ত-সব উপকারী পুষ্টিসমূহের অনেকটাই চলে যায়।

পালংশাক সেদ্ধ করে, অক্সালিক এসিডযুক্ত পানিটুকু ফেলে দিতে হয়। অন্যথায় তা দেহের জন্য ক্ষতিকর ও খেতে ঝাঁঝ লাগতে পারে। বাচ্চা পালং খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। উহা একদিকে যেমন পুষ্টিতে ভরপুর, অন্যদিকে অক্সালিক এসিডের পরিমাণও এতে কম থাকে। তাই পিত্তথলি বা কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় থাকে না।

বাচ্চা পালং রান্না করার চাইতে, সালাদের সাথে কাঁচা খেতে পারলে, উহা উন্নতমানের ‘মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনেরালস’ ট্যাবলেটের চেয়েও ভালো কাজ করে। পালংশাক, এলুমিনিয়াম বা ঢালাই লোহার পাত্রে রান্না করলে তার সুন্দর স্বাদ ও সবুজ রং নষ্ট হয়ে গিয়ে পালং খাওয়ার মজা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। পালংশাকের আগে পরে আয়রন ট্যাবলেট বা এন্টাসিড খাওয়া ঠিক না। অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে তা খেতে হয়। কিডনি বা পিত্তথলিতে যদি কোন সমস্যা থাকে, এসব জায়গায় পাথর তৈরি হয় অথবা শরীরে বাতব্যথা বা গিড়ায় ব্যথা  থাকে তবে সতর্কভাবে ও পরিমিত মাত্রায় পালংশাক খাওয়া উচিত।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G