বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চ এখন সত্যিকারের সার্কাস!

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫ সময়ঃ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

বিভিন্ন দলের চাঁদাবাজি আর দূর্নীতির কারণে জামায়াতে ইসলামী এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে যেন রাজনীতির মাঠে তারাই একমাত্র হিরো—অপ্রতিদ্বন্দ্বী; আর বাকিদের অবস্থা ভাঁড়ের মতো। এনসিপি তো একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ৫ আগস্টের পর ডিসি-সচিব বদলি আর নিয়োগ-বাণিজ্যের যে হাট বসিয়েছে তারা, তাতে জনগণ তো বটেই; ছাত্রসমাজও থুথু ছুড়ছে-“ধুত্তোরি!”
চাকসুর মতো নির্বাচনে এখন রাফিদের মতো সমন্বয়কদের সাহসই উধাও। কারণ তারা জানে- মাঠে নামলেই ধরা খাবে, ভরাডুবি নিশ্চিত।
অন্যদিকে ছাত্রদল আর তাদের সহযোগী গ্যাং ব্যস্ত কে কয়টা পদ পাবে সেই ভাগ-বাটোয়ারায়। এই সুযোগে ছাত্রশিবির একের পর এক খালি মাঠে গোল দিচ্ছে। এখন যেকোনে ক্যাম্পাসে নির্বাচন হলে রাজনীতি সচেতন যে কেউ বলে দিতে পারবে—শিবিরই জিতবে। কারণ ৫ আগস্টের পর তারাই একমাত্র ছাত্রদের কাছে গিয়ে আস্থা ফেরাতে পেরেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ ১৫ বছরের লুটপাটের টাকা এখন এমনভাবে বিলাচ্ছে যেন নির্বাচনী দান-খয়রাত শুরু হয়ে গেছে। হঠাৎ তাদের মধ্যে নতুন দেশপ্রেমের খেলা! টেলিগ্রাম-ফেসবুক ভর্তি তাদের পোস্টে। মিছিলের সাইজ যত বড় হচ্ছে, ততই বোঝা যাচ্ছে এটি শেষ চেষ্টা—মরার আগে হাঁসফাঁস।
বিএনপির অর্ধেক নেতা পানির দরে বিক্রি হয়ে আওয়ামী লীগের কোলেই গিয়ে বসেছে। যে কারণে পলাতকদের চোখে আবার ক্ষমতার হাহাকার—যেন দেশকে আগুনে না জ্বালালে শান্তি মিলবে না।
এনসিপির ছাত্রউপদেষ্টারা জানে—গেম ওভার। তাই শেষ সুযোগে যা পারছে লুটে নিচ্ছে! শহিদদের রক্ত, জুলাই আন্দোলনের স্বপ্ন—সব পদদলিত করে নির্লজ্জের মতো নিজেদের পকেট ভরছে! অপদার্থ উপদেষ্টারা হাত গুটিয়ে বসে আছে, যেন দেশের নয়, মহাকাশ থেকে নেমে এসেছে তারা। কিছুই করার নেই তাদের!
সবচেয়ে মজার ট্র্যাজেডি হলো প্রফেসর ড. ইউনুস। দেশের এই ভয়াবহ অবস্থা তিনি বুঝতেই পারলেন না—না কি বুঝেও চোখ বন্ধ করে রাখলেন। মামলার বোঝা নামানো আর নিজের ঋণ মওকুফ করালেই যেন তার দায়িত্ব শেষ! দেশের জন্য আরেক ফোঁটা দায়বদ্ধতাও নেই!
তাঁর জন্য যে বিশ্বাস ও ভালবাসা একসময় ছিল, আজ তা ছাই হয়ে গেছে। জুলাই আন্দোলনের স্টেকহোল্ডাররা বারবার বলেছে—“উপদেষ্টা বদলান।” তিনি বদলালেন না। আর দেশকে ঠেলে দিলেন খাদের কিনারায়।
যখন তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রোগ্রামে গিয়ে দেখবেন—লোকজন আর আগের মতো তাকে ঘিরে ধরছে না, বরং মারমুখী পলাতক দল তার দিকে উল্কাপিণ্ডের মতো ছুটে আসছে—তখন হয়তো একটু আঁচ করবেন।
এতকিছুর পরেও যারা লন্ডনে বসে মসনদে বসার দিবাস্বপ্ন দেখছে, তাদের জানা উচিত—পলাতকদের আশ্রয় আর দলীয় লুটপাটের দায় মিলেই সেই স্বপ্ন শীঘ্রই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। কেননা সময় গেলে সাধন হয় না !
বি.দ্র: কোন দল করি না, নিজের বিবেচনায় (বাইফোকাল মাইন্ডে) যা সঠিক মনে করি তাই নির্মোহভাবে বলি। লেখাটি কাউকে আঘাত করলে এড়িয়ে যাবেন প্লিজ।
রাকিব হাসান,
ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G