শিশুদের এগজিমার কারণ ও প্রতিকার

প্রকাশঃ অক্টোবর ২৩, ২০১৬ সময়ঃ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

_32 শিশুর কচি চামড়ায় একজিমা দেখে চোখ কপালে উঠেছে? একজিমার মত চর্মরোগ শুধুই যে বড়দের হবে এমন তো কোনো কথা নেই! আতঙ্কিত না হয়ে জেনে নিন এই সমস্যা দূর করার উপায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের একজিমা হতে পারে। এ সময় আক্রান্ত স্থানটি হয়ে ওঠে লালচে, শুকনো, খসখসে এবং খুব চুলকায়।

বেশিরভাগ শিশুদের বেলায়ই বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছাতে পৌঁছাতে একজিমা সেরে যায়। তবে কিছু কিছু বাচ্চাদের শরীরে তা থেকে যেতে পারে বড় হওয়ার পরও।

শিশুদের একজিমা কেন হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব শিশুদের একজিমা হয় তারা আসলে স্পর্শকাতর চামড়া নিয়ে জন্মায়। তাই খুব সহজেই আক্রান্ত হয় তাদের চামড়া।

তবে চামড়ার এই স্পর্শকাতরতা মূলত বংশগত। এ ধরনের চামড়ার অধিকারী শিশুদের একজিমা না থাকলেও খুব সহজেই চুলকানি হয়।

বেশিরভাগ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের পরনের কাপড়, গোসল করানোর ধরন এবং কাপড়গুলো কীভাবে ধোয়া হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে চুলকানির ধরন। অনেক সময় একজিমা না হলেও কাপড় পড়ানোর পর বাচ্চার শরীরে র্যাশ হতে পারে।

একজিমার প্রতিকার

kidএকজিমা পুরোপুরি নির্মূল করার উপায় এখনও বের করা যায়নি। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগটি দমিয়ে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজিমার চুলকানির জন্য ৮৫ শতাংশ দায়ী হল আমাদের পারিপার্শ্বিকতা। চামড়ার শুষ্কতার কারণেও একজিমার কষ্ট বেড়ে যায়।

বাবুর একজিমা হলে কি করবেন

ওষুধপত্রের মাধ্যমে একজিমা দমিয়ে রাখবেন অবশ্যই। পাশাপাশি জীবনযাত্রায় ছোটখাটো পরিবর্তন আপনার শিশুকে তার স্পর্শকাতর চামড়ার কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে।

বাচ্চাকে সবসময় সুতির পোশাক পরান। গরমের কারণে আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময়ই সুতির পোশাক পরতে হয়, তবে অন্যান্য সময়েও চেষ্টা করুন পলিস্টার, ইলাস্টিক, উলজাতীয় পোশাক এড়িয়ে চলতে।

কাপড় ধোয়ার সময় স্পর্শকাতর চামড়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি ওয়াশিং পাউডার ব্যবহার করুন। প্যাকেটে যে পরিমাণ লেখা আছে তার অর্ধেক পাউডার দিয়ে কাপড় ধোয়া উচিৎ। ওয়াশিং মেশিনে ধুলে একসঙ্গে অনেক কাপড় ঠেসে দেবেন না। বাবুর কাপড়গুলো যাতে ভালভাবে ধোয়া হয় তাই কম কাপড় দিন।

একদম ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে দিনে শুধু একবার গোসল করান, তবে সাবান কিংবা কোনো ধরনের বডিওয়াশ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। অল্প সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন বাবুর শরীর, তাতেই চলবে।

বাবু যখন হামাগুড়ি দিতে শুরু করবে, তখন গোসলের সময় বডিওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা হতে হবে সোপফ্রি এবয় বাবুর হাত ও পা পরিষ্কারে ব্যবহার করুন, পুরো শরীরে নয়।

পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি শিশুর চামড়ার আর্দ্রতা ধরে রাখাও একান্ত প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাবুর চামড়ার জন্য উপযুক্ত কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G