শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধের উপায়

প্রকাশঃ এপ্রিল ১, ২০১৬ সময়ঃ ৪:৪৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:১৭ অপরাহ্ণ

file (36)বিভিন্ন কারণে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হয়। তবে বিয়ের আগে বা সন্তান ধারণের আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে জন্মগত ত্রুটি অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়। 

এ বিষয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফিরোজা বেগম। 

প্রশ্ন : কী করলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করা যায়?

 আপন রক্তের সম্পর্কের কাউকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা উচিত—এ বিষয়ে সবাইকে বলা প্রয়োজন। একজন গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে আমি এটা মনে করি। থ্যালাসেমিয়া যদি বংশে থাকে, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। আর ক্রোমোজোমাল ত্রুটিগুলো কিন্তু আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে যেতে পারে। 

কাজেই সেখানে আমাদের পরীক্ষার দরকার রয়েছে। আমার মনে হয়, গর্ভধারণের আগে ফলিক এসিড সব মায়েরই খাওয়া উচিত। অন্তত দুই মাস খেয়ে এর পর গর্ভধারণ করা উচিত। এটি সবার ক্ষেত্রে।

এর পর মাল্টিভিটামিন খাওয়া যাবে না। এতে ভিটামিন-এ থাকে। এটি জন্মগত ত্রুটি তৈরি করতে পারে। ডায়াবেটিস যদি থাকে, খুব ভালো করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নয়তো শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। যদি কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকে, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে ওষুধ দিতে হবে। নয়তো কিছু অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ রয়েছে, যেগুলো জন্মগত ত্রুটি তৈরি করে, এগুলো এড়াতে হবে। 

এসব রোগীকে খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে। সতর্কতার সঙ্গে যদি চিকিৎসা দিই, তাহলে সমস্যাগুলো নির্ণয় করতে পারি এবং পরামর্শ দিতে পারি। আমরা বলতে পারি, শিশুটি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মালেও সে বেঁচে থাকবে। তার কোনো সমস্যা হবে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি করে ঠিক করা যায়। সে পরামর্শও আমরা দম্পতিকে ওই মুহূর্তে দিতে পারি।

সূত্র: এনটিভি

======

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G