সাংবাদিক মিসবাহ’র সুস্থতা এখন সময়ের দাবি

প্রকাশঃ জানুয়ারি ৩, ২০১৬ সময়ঃ ৭:২৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

Presentation1সড়ক দুর্ঘটনা তাকে এভাবেই মৃত্যুর মুখোমুখি করে দিয়েছে। স্পন্দনহীন এই জীবন কি মুত্যুর চেয়ে খুব ভালো?

মাত্র কয়েক দিন আগেও যে মানুষটি সড়ক দুর্ঘটনায় মানবেতর জীবন যাপন করা মানুষদের দুঃখ কষ্ট এমন বাক্যেই তুলে ধরেছেন সবার সামনে, সে মানুষটিই আজ পঙ্গুত্বের সাথে লড়াই  প্রতিনিয়ত করছে। তার সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এখন পুরোটাই সৃষ্টিকর্তার হাতে ।

গত ৩০ ডিসেম্বর কর্মস্থলে যাবার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সাংবাদিক হাসান মিসবাহ। এতক্ষণ বলছিলাম তারই কথা । তার ক্ষতবিক্ষত ডান পা পুরাপুরি সেরে ওঠা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়া প্রতিশ্রুতিশীল এই সাংবাদিকের পরিবারে এখন নেমে এসেছে চরম হতাশা।

মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কারও অর্জন করেছেন আহত এই সাংবাদিক। সড়ক দুর্ঘটনার আদ্যপান্ত নিয়ে রিপোর্ট করা মিসবার সুস্থ্য হয়ে ওঠা নিয়ে সংশয়ে তার পরিবার।

সড়ক দুর্ঘটনা নামের এমন অভিশাপে কারোর জীবনই যেনো থমকে না যায় সেই আকুতি জানিয়ে মিসবাহ বলেন,সড়ক দুর্ঘটনার এই কালো থাবা কবে থামবে,কখন মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ পাবে, এর কি কোনও শেষ নেই?

মিসবাহর উদ্ধারকারী বলেন, ‘সে সময় পুরা রাস্তা রক্তে ভরে গেছে। আমি একজনরে ভাই ভাই বলে চিল্লাইছি,পরে (কেউ এগিয়ে না আসায়)নিজেই হাসপাতালে নিছি’।

মিসবাহর দুই ভাই কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,গাড়ি থেকে পরে সে আর্তনাদ করছিলো কিন্তু কেউ ছুটে আসেনি। আল্লাহ যেন তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে দেয় এই কামনায় করি।

তার সুচিকিৎসার ব্যপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে জানিয়ে সহকর্মীরা বলেন, তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করাই এখন আমাদের প্রধান কাজ।

পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক স্পাইন এন্ড আর্থোপেডিক সার্জন প্রফেসর ডা. মো. শাহ আলম জানান, সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। তবে হাটুর জয়েন্ট পুরোপুরি ঠিক নাও হতে পারে। আঘাত মারাত্মক হওয়ায় এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন এই চিকিৎসক।

উল্লেখ্য, মিসবাহ বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন এর স্বাস্থ সেবা বিষয়ক প্রতিবেদক। সম্প্রতি সে একুশে টেলিভিশন ছেড়ে এই চ্যানেলে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর।

স্বাভাবিকভাবে মিসবাহ আবারো ফিরে আসবে তার পেশায়- মানুষের কল্যাণে, সেই কামনাই এখন সবার।

প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G