স্বপ্নের সৈকত ‘কুয়াকাটা’

প্রকাশঃ মে ২০, ২০১৫ সময়ঃ ৮:১৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

kuakata1সূর্যোদয়ে তুমি, সুর্যাস্তেও তুমি,

ও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি,

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি আমাদের এ দেশ। ছয়টি ঋতুর এ দেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।

কুয়াকাটা তার মধ্যে অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত, যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, যা দেখার জন্য প্রতিদিনই সেখানে ভিড় জমায় দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক। এ সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য যে কতটা মনোরম হতে পারে তা লিখে বোঝানো মুশকিল।

বরিশাল বিভাগের শেষ প্রান্তে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের সর্বশেষ দক্ষিণে অসাধারণ এ সমুদ্র সৈকতটির অবস্থান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার, প্রস্থ সাড়ে ৩ কিলোমিটার। বর্তমানে সমুদ্রের করাল গ্রাসে প্রশস্ততা কিছুটা কমেছে। কুয়াকাটা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন এবং কোলাহল মুক্ত।kuta

যারা একটু নিরিবিলি সৈকত পছন্দ করেন তাদের বেড়ানোর জন্য কুয়াকাটার কোনো তুলনা হয়না। সৈকত ঘেঁষেই আছে সারি সারি নারিকেল বাগান। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্রের ঢেউ। ঢেউগুলো যখন এসে পায়ের ওপর আছড়ে পড়ে, মনে হয় স্নিগ্ধতা আপনাকে ছুঁয়ে দিয়েছে। তখন আপনি নিজের অজান্তেই সমুদ্রে একবার গোসল না করে ফিরতে চাইবেন না। এই সৈকতজুড়ে রয়েছে সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গেলেই দেখতে পাবেন, সারি সারি কাঠের বেঞ্চ আর রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছাতা। ইচ্ছে করলে বেঞ্চ ভাড়া করে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে পাবেন।

এছাড়া দর্শনার্থীও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এ সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও ঘোড়া। পর্যটকদের জন্য ইতোমধ্যেই এখানে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে।kuakata3

ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক পথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হলো ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী, সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা।

ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী যায় এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চ। প্রথম শ্রেণীর একক কেবিন ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বৈত কেবিন ১ হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। কুয়াকাটা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার বাস সার্ভিস রয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহনের বাস যায় কুয়াকাটা। ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।

নগরের ইট পাথরের এই যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস নিতে মানুষ ছুটে যায় কোন সবুজ প্রান্তরে, নদীর পাশে অথবা সমুদ্রের ধারে। কুয়াকাটা এমনই একটি সৈকত, যা দেখে আপনার মন আপনা আপনিই ভাল হয়ে যাবে। সময় করে ঘুরে আসতে পারেন মনোরম এই ভ্রমণ স্বর্গ, কুয়াকাটা থেকে। যা আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও দিবে প্রশান্তি।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G