২২ বছর পর ভারতের দুর্গ ভাঙল বাংলাদেশ

প্রথম প্রকাশঃ নভেম্বর ১৯, ২০২৫ সময়ঃ ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

২২ বছরের অপেক্ষার অবসান। সর্বশেষ ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর দীর্ঘ দুই দশক ধরে প্রতিপক্ষের কাছে হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই ইতিহাস বদলে গেল মঙ্গলবার রাতে। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতকে ১–০ গোলে হারিয়ে ঐতিহাসিক এক জয় তুলে নেয় লাল–সবুজরা।

ম্যাচের শুরুতেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেন তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন। ১২তম মিনিটে রাকিব হোসেনের নিখুঁত অ্যাসিস্ট থেকে ডি-বক্সে ঢুকে ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংকে পরাস্ত করেন তিনি। বল সোজা জালে, আর গ্যালারি ফেটে পড়ে উল্লাসে।

গোল হজম করে ভারত আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৩১তম মিনিটে গোলরক্ষক মিতুলের ভুলে চ্যাংয়ের সামনে বড় সুযোগ তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে হেড করে দলকে রক্ষা করেন হামজা চৌধুরী। দু’দিকে দ্রুতগতির আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হামজাও দূরপাল্লার এক শটে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেন, তবে তা লক্ষ্যে পৌঁছায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে ভারত বেশ কিছু পরিবর্তন এনে আক্রমণ জোরদার করলেও বাংলাদেশ রক্ষণে ছিল অবিচল। তপু বর্মণ, শাকিল আহাদ ও হামজার নেতৃত্বে রক্ষণভাগ একের পর এক ভারতীয় আক্রমণ শীতলভাবে সামলে নেয়। ৬৫তম মিনিটে ভারতের বদলি সানানের শক্তিশালী শটও ঠেকিয়ে দেন মিতুল।

৭০তম মিনিটে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বদলি নামান—মোরসালিনের জায়গায় তাজ উদ্দিন ও জায়ানের বদলি হিসেবে শাহরিয়ার ইমন। দুজনের আগমনে আক্রমণ আরও গোছালো হয় বাংলাদেশের।

৭৯তম মিনিটে শাকিলের নেওয়া দুর্বল শট ভারতীয় গোলরক্ষক সহজেই ধরেন। এরপর ইমনের ক্রসে ফাহিমের হেড সান্দেশ ঝিংগানে ঠেকিয়ে দিলে বাংলাদেশ পেনাল্টির দাবি জানালেও রেফারি নাকচ করে কর্নার দেন।

সেই কর্নার থেকে ভারতের পাল্টা আক্রমণ তৈরি হলেও শাকিল আহাদের বুদ্ধিদীপ্ত ট্যাকলে বিপদ এড়ায় বাংলাদেশ। অতিরিক্ত সময়েও ভারত গোলের জন্য মরিয়া থাকলেও গোলরক্ষক মিতুল ছিলেন সতর্ক। শেষ পর্যন্ত আর গোলের সুযোগ করে দিতে দেননি তিনি।

স্কোরলাইনে বাংলাদেশের ১–০ গোলে জয়।
২২ বছরের ক্ষুধা মিটিয়ে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় এক ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G