হাইতির প্রেসিডেন্টকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশঃ জুলাই ৭, ২০২১ সময়ঃ ৬:৪২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৪২ অপরাহ্ণ

নিজ বাসভবনে হত্যার শিকার হয়েছেন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লাউডি জোসেফ। বুধবার বিবৃতিতে বলা হয়, আততায়ীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র একটি দল প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের বাড়িতে মাঝ রাতে হামলা চালায়। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে। হামলায় প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির স্ত্রীও আহত হয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সী জোভেনেল মইসি ক্ষমতায় আসেন ২০১৭ সালে।

হাইতি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম হাইতি প্রজাতন্ত্র। ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিম এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে রাষ্ট্রটি গঠিত। দ্বীপের বাকি অংশে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র অবস্থিত।

১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটিই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিল। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে। পর্তোপ্রাস দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।

এ পাহাড়ি দেশটি একসময় অরণ্যে আবৃত ছিল। বেশির ভাগ গাছই কেটে ফেলা হয়েছে, ফলে মৃত্তিকার ক্ষয় ঘটেছে। পল্লী অঞ্চলে কৃষকরা পাহাড়ের পাদদেশে ক্ষুদ্রাকার জমিতে চাষবাস করে। অপুষ্টি ও বেকারত্ব হাইতির বড় সমস্যা।

ইতিহাসজুড়ে হাইতির জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণি, যারা বেশিরভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণি, যাদের কোনো ক্ষমতা নেই। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

হাইতির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস দীর্ঘ। দেশটিতে অনেকগুলো স্বৈরশাসক শাসন করেছেন। এদের মধ্যে ফ্রঁসোয়া দুভালিয়ে-র নাম উল্লেখযোগ্য। ২১০০ শতকের প্রারম্ভে এসে হাইতি একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করছে।

সূত্র: বিবিসি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G